১। একটি মানে দাড় করান কেন Startup বা উদ্যোগ নেবেন ……….
আপনার উদ্যোগটি লাভজনক বা অলাভজনক যাই হোক না কেন এটার আসল ঊদ্দেশ্য হয়া উচিত অন্যের ঊপকার বা সমস্যা নিরসন করা । যা দুনিয়াতে একটি ভাল উধাহরণ রেখে যাবে । মানুষ মনে রাখবে ।
বয়স তিরিশ এর আগে শুরু করুন পরে ভুল শুধরে নিতে পারবেন , ৪০ এর ঘরে জীবন বাজি রাখা কঠিন
* আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে সাধারণ মানুষের লাভ কি ? এর উত্তর পরিষ্কার হওয়া জরুরী ।
* মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি করবে কি ?
* সব কিছু শেষে ভাল জিনিস তাই মানুষ মনে রাখে যা একটা সময় তার উপকার বা মনোযোগ কেড়েছিল ।
২। একটি স্লোগান / মন্ত্র তৈরি করুন ( যেমন নকিয়ার Connecting People )……
সেই মন্ত্র টি যেন মিশন স্টেটমেন্ট এর মত বড় না হয় । যা আপনি বিশ্বাস করবেন । আপনার ক র্মীরাও বিশ্বাস করবে ।
* আপনার উদ্যোগটির উদ্দেশ্যর সাথে মন্ত্রটির মিল থাকতে হবে ।
* মানুষ যেন ২/৩ টি শব্দে আপনাকে বিশ্বাস করে ।
* যত বেশী মানুষ আপনাকে ভরসা করবে আপনার ব্যবসা বাড়তে থাকবে ।
৩। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে চলুন…………
* সবার প্রতি ঊদার থাকুন
* কিন্তু সবাইকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন না
* শুরুতে আপনি মাত্র অল্প কিছু ক্রেতা পাবেন তাদের নিয়ে এগিয়ে চলুন ।
* একজন সোলমেট খুজন যে আপনার মত বা আপনার মত দুরদর্শী । বা কিছুটা পাগলাটে !!!
* ওজনিয়ক , পল এলেন, সের্গেই ব্রিন এরা কাদের সোলমেট মনে পড়ে ?
৪। বাস্তব বাদী বিজনেস মডেল দাড় করান…………
* ঢাকায় ৩ মিলিয়ন শিক্ষিত ও স্মার্ট মানুষ আছে ঠিক
* ব্যাতিক্রম কিছু ভাবুন যা দেশে আগে কেউ শুরু করে নি
* কারন এরই ভিতর অনেকই একই কাজটি করছে ।
* আপনার যতই স্মার্ট প্রোগ্রামার , মারকেটিং এক্সপার্ট থাকুক না কেন, অনেক কঠিন হবে কাজ টি
* চাহিদার নিচের দিক থেকে ভাবুন, তাতে খরচ ও আয়ের অনুপাত আগে থেকে অনুমান করতে পারবেন ।
* ব্যবসা করার জন্য আমাদের দেশ উর্বর ভুমি , কারন সব শ্রেনীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতা মোটামুটি ।
৫। কাজ, ধারনা, ও মাইলফলক ঠিক করে নিন । ………..
প্রথম দিকের সব স্টার্টআপ কে ৭ টি মাইলফলক ঠিক করা উচিত
* আপনার কনসেপ্ট / আইডিয়া কে প্রমান করুন
* আপনার ডিজাইন দাড় করান
* প্রটোটাইপ দাড় করান
* প্রথমে নিজের পুজি নিয়ে এগিয়ে চলূন , পরে অপরের পুজি নেবেন ব্যবসা শক্ত করার জন্য
* নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বেটা ভার্সন সবাইকে দেখান
* তারপর আসল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অল্প পরিমাণে বিক্রি করবেন ।
* সেলস শুরু হয়ে গেলে কাস্টমার কি চায় ট্র্যাক করা শুরু করুন, তা থেকেই পরের ধাপ বেরিয়ে আসবে ।
* মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করলে আপনিও ফল পাবেন ।
৬ আপনার গল্প টি শেয়ার করুন কেন আপনি এটা করছেন …………
* প্রচার পর্বের শুরু তে আপনার গল্প টী শুনে যাতে মানুষ আপনাকে মনে রাখে
* আপনার উদ্যোগ টি যদি আলাদা হয় , মানুষ চেস্টা করবে মনে রাখতে
* কমম্পিটিটর দাঁড়িয়ে গেলেও ভয় পাবেন না
* আপনার প্রচেস্টা কতটা হৃদয়গ্রাহী সেটা মানুষকে বোঝান ।
৭ বিনিয়োগের জন্য রাস্তা খোলা রাখুন , যা প্রেজেন্টেশন এর লক্ষ্য
* সেলস, মার্কেটিং , ব্র্যান্ডিং, ফান্ড রাইজিং, কাস্টমার কেয়ার সব দিকে নজর রাখতে হবে
* ১০/২০/৩০ রুল যা আপনার সব প্রেজেন্টটেশন কে করবে অর্থবহ
* ১০ টি শ্লাইড, ২০ মিনিট, ৩০ ফন্ট সাইজ যা ম্যাজিকের মত কাজ করবে
৮ সেলস অনুযায়ী খরচ করুন ও টিম বিল্ডিং করুন। ………
* নতুন কিছু যোগ করতে গিয়ে সব পুঁজি বিনিয়োগ করবেন না
* যা সেল আসবে তার থেকে খরচ করুন ।
* আপনার সব টিম মেম্বার দক্ষ থাকলেও সেলস ডাটার দিকে পক্ষ নিন
* সেলস সবকিছু ফিক্সড করতে পারে ,
* সেলস যদি নাই থাকে তবে হেভি প্রোগ্রামার ও কাস্টমার কেয়ার কোন কাজে আসবে না
* বুঝে শুনে চলতি বিনিয়োগ করুন ।
৯ ব্যবসার নানা ইনোভেসন এ বিনিয়োগের চিন্তা করুন …….
* বিনিয়োগের সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না
* হয়ত আপনি পাবলিশিং করছেন কিন্তু দেখা গেল ই বুক এর বাজার বেশি
* ফেরত আসার বা রিস্টার্ট করার ঊপায় রাখুন ।
* ব্যাক্তিগত নেটওঅর্ক তৈরি করুন
১০ ওপরের ভাবনায় নিরুৎসাহিত হবেন না ……
* কারন তারা আপনার মত দূরদর্শী নাও হতে পারে
* আপনি কি করবেন না নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নেই ।
* আপনি এটা পারবেন না এর আসল মানে ওরা কেউ হলে পারত না ।
* আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ কেউ হলে তার সাবধান বানী মাথায় নিন ।
সব কথার শেষ কথা ব্যবসা শুধু আপনার নিজের জন্য ভাবলে সেটার স্থায়িত্ত বেশি দিন হয় না , কারন নিয়তি পেব্যাক করতে শুরু করে , মনোপলির চিন্তা না করে ইনোভেশন এ নজর দিন ।