« on: March 11, 2018, 09:29:00 PM »
বাংলাদেশে মানুষ বেশী কিন্তু সুযোগ ও কর্মসংস্থান সীমিত। আগে থেকেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমরা চাকরির পেছনে ছুটেছি বলে আমাদের ব্যবসায়িক খাত উন্নত হয়নি। ১৭ কোটি মানুষের বাজারে তাদের চাহিদার েআলোকে আমরা নিজেরাই নিজেদের জন্য অনেক কিছু প্রস্তুত ও বাজারজাত করতে পারতাম। সে সযুযোগটা ছিলো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা না হয়ে আমরা বরং বিদেশী বনিকদের ব্যবসায় দিয়ে যাচ্ছি বিদেশী পন্যের বাজার ও খদ্দেরে পরিণত হয়েছি গোটা জাতি। দেশের ব্যবসায়িক খাত আশানুরুপ উন্নতি না হওয়ার কারণে আমাদের মানসিকতা যেমন চাকরীমুখী ও বিদেশী পন্য মুখী প্রবণতা। তবে দুটো সমস্যা রয়েছে একটা পুঁজি সংকট অন্যটি হলো উদ্যোক্তাদের দক্ষতার অভাব। পুঁজি সমস্যার সমাধানে বর্তমানে ব্যাংক লোন ছাড়াও বেশকিছু সমাধান এসেছে তারমধ্যে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ভেঞ্চার পার্টনার ক্রাউড ফান্ডিং এবং অগ্রিম বিক্রয়। আগের একটা লেখায় আমি গতানুগতিক পুঁজি সংগ্রহের বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। আজ আলোচনা করবো ভেঞ্চার পার্টনার ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে।
ব্যাংক সাধারণত ঋল দেয়ার ক্ষেত্রে কি করে? যেসব ব্যবসা লাভের মুখ দেখেছে কিনা? কয়েকবছর বয়স হলো কিনা? আবার উদ্যোক্তার নিজের কোনো স্থায়ী সম্পদ আছে কিনা? বলা বাহুল্য বেশীরভাগ তরুন এবং সৃজনশীল উদ্যোক্তারা বাদ পড়ে যান। লিজিং কোম্পানীর ক্ষেত্রে একই সমস্যা। তখন হতাশার কালো ছায়া ঘিরে আসে চার দিক থেকে। কারণ পরিবার থেকেতো আগেই নিষেধ করা হয়েছে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি কোনো লোন দেয়না উদ্যোক্তার অংশীদার হিসেবে কাজ করে; মানে ব্যবসায়ের লাভ লোকসানের অংশীদার হয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তার কোম্পানি পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে যাতে কোম্পানি লোকসানের মুখে না পড়ে৷ তবে এর অর্থ এই নয়যে তারা কোম্পানীর মালিক হয়ে যায়। বা কোম্পানীতে গেঁড়ে বসে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার (অংশীদার) হবে এবং অল্প পরিমাণ শেয়ার নিবে, মজার ব্যপার হচ্ছে প্রাধান্য আপনারই বেশি থাকবে যাকে ইংরেজিতে মেজরেটি বলে থাকি। মানে বেশীরভাগ শেয়ার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে যায়না ব্যবসায়ের বেশীরভাগ শেয়ার এবং কতৃত্ব উদ্যোক্তারই থাকে। তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চাইবে আপনাকে কীভাবে সফলতায় নিয়ে যাওয়া যায়।
কিন্তু ব্যাংক তার উল্টো আপনি কিভাবে ব্যবসা করেছেন বা কিভাবে লাভ লস করেছেন সেটা আপনার ব্যাপার আপনি ঋনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করতেই হবে। ব্যাংক সাধারণত নতুন উদ্যোক্তাদের ফাইন্যান্স করেনা কিন্তু এখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম একটা ভরসার জায়গা৷
তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করতে হবে। আপনাকে পুরো বিজনেস প্লান দেখাতে হবে। ব্যবসায়ের লিগাল ডকুমেন্ট গুলো বানাতে হবে। একটি কোম্পানী প্রোফাইল কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনায় বাজেট, খরচ সম্ভাব্য আয় সবকিছু ছক ও চাট আকারে তুলে ধরতে হবে। একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টশানের মাধ্যমে ও সরাসরি সাক্ষাৎকারে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাব দিয়ে তাদেরক বিষয়টা বোঝাতে হবে।
সাধারণত একটা ধারণা রয়েছে যে, যে বিজনেস আইডিয়াটা সঠিক কিংভা যেটা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলবে বা সফল হবে । সেটাকে তুলে ধরার জন্য ৩ থেকে ৫ মিনিটের বক্তব্য যথেষ্ঠ। তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মগুলো ৩ মিনিট সময় দিয়ে থাকে উদোগটাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। প্রিয় উদ্যোক্তা আপনার নতুন উদ্যোগের সমস্যা, সম্ভাবনা, পলিসি এবং কৌশলগত দিক সব ৩ মিনিটেই বলার বা প্রেজেন্ট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটা আপনার কাজে লাগবে। অবশ্য বিস্তারিত পরিকল্পনার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটেও আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন।
আজকের বিশ্বের বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট এদের পেছনে রয়েছে বড়ো বড়ো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মগুলোর সহায়তা।
বাংলাদেশে যেসব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম রয়েছে। তাদের একটি এসোসিয়েশনও আছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। https://vcpeab.org/
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন।
BD VENTURE LTD – WE INVEST IN YOUR GROWTH: BDVENTURE.COM
ANGEL AND VENTURE CAPITAL: http://HTTP://WWW.VENTURE.COM.BD/
CAPM VENTURE CAPITAL & FINANCE LIMITED: http://HTTPS://FUTURESTARTUP.COM
CVCFL- CVCFL PLANS TO HAVE A DIVERSIFIED AND INNOVATIVE RANGE OF PRODUCTS AND SERVICES CORPORATE FINANCERATEFINANCE. SERVICE:
WELCOME TO CVCFL: WWW.CVCFLBD.COM
BANGLADESH – FENOX VENTURE CAPITAL: WWW.FENOXVC.COM
VENTURE INVESTMENT PARTNERS BANGLADESH LIMITED (VIPB): VIPBLIMITED.COM
CAPM (CAPITAL & ASSET PORTFOLIO MANAGEMENT) COMPANY LIMITED: HOME
www.capmbd.com
এবার আসি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ভেঞ্চার পার্টনারের বিষয়ে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ভেঞ্চার পার্টনার আদতে একই হলেও অল্প কিছু পার্থক্য রয়েছে। এবং কিছু বিষয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠার অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। যেসব বিষয় এক সেটা ভেঞ্চার ক্যাপিটেলের মতো ভেঞ্চার পার্টনার কোনো মর্টগেজ রাখেনা, লোন দেয়না বা লোনের ইন্টারেস্ট নেয়না। আর পার্থক্যের জায়গা হলো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অনেক সময় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিলেও ভেঞ্চার পার্টরনার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে টাকা দেয়না। তারা পন্য কিনে দেয়, অথবা পন্য বা সেবার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সে পন্য বা সেবার মূল্য বিনিয়োগ হিসেবে গন্য করে। কোনো ক্ষেত্রে কোম্পানীর অংশীদার হয়ে থাকে মূলত তারা ইকুইটি শেয়ার করে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যেমন ৩ থেকে ৮ বছর পর তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা তুলে লাভসহ ফিরে যায় মাঝখান একজন নবীন উদ্যোক্তা বড় ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিদেশী ভেঞ্চার পার্টনাররা এমন করলেও দেশী ভেঞ্চার পার্টনাররা অনেক সময় কোম্পানী অধিকার করে নেয় অথবা কিনে নেয়। অবশ্যই লাভজনক কোম্পানী হলে তারা ন্যায্যমূল্যে কেনে আর লোকসান ফার্ম হলে কেনার প্রশ্ন উঠেনা। যদিও কেনে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ বা সরকারী বিধিমতে কোম্পানীর ভ্যালুয়েশন করে নেয়।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত অসেক বড়ো বড়ো ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঞ্চার পার্টনার হয়ে থাকে। এর মধ্যে দুটো উল্লেখযোগ্য ভেঞ্চার পার্টনার হলো বেস্টওয়ে গ্রুপ এবং গ্রীণবাংলা ফাউন্ডেশন।source:http://blog.e-cab.net/
Logged
Regards,
Md. Rashadul Islam
Operation Manager
Bangladesh Venture Capital Ltd.