Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Rashadul Islam

Pages: 1 2 [3]
31
বর্তমান সময়ে যে দেশ রপ্তানীতে যত এগিয়ে সে দেশ সমৃদ্ধিতেও তত এগিয়ে। আমাদের দেশও এগিয়ে চলেছে সে পথে। রপ্তানীতে তৈরী পোশাক শিল্প আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় খাত। কিন্তু আমাদের অনেকেরই জানা নাই রপ্তানী প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পাদিত হয়। আমরা ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের এ সম্পর্কিত ধারনা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। আর সে প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে আজ আপনাদের জানাব বন্ডেড ওয়্যার হাউজ লাইসেন্স সংগ্রহ পদ্ধতি সম্পর্কে।

একশত ভাগ রপ্তানিমুখী হলে আপনি শুল্ক বিভাগ হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স সুবিধা নিয়ে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি করে খরচ কমাতে পারেন। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে পণ্য ১০০ ভাগ রপ্তানি করতে হবে। নতুবা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি না করে আপনি শুল্ক, কর ইত্যাদি প্রদান করে কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে পণ্য উৎপাদন করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। রপ্তানির পর আপনি ডিউটি ড্রব্যাক বা বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ক্যাশ বেনিফিট পেতে পারেন। ডিউটি ড্র ব্যাক DEDO অফিস থেকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করতে হবে। আর ক্যাশ বেনিফিট ২৫ শতাংশ আপনার ব্যাংক -এর মাধ্যমে আবেদন করে সংগ্রহ করতে হবে।

শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স -এর আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি পেশ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১.    নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র
২.    ১০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন কোটি টাকার বন্ড
৩.    ট্রেড লাইসেন্স
৪.    আমদানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (আইআরসি) শিল্পখাতভূক্ত
৫.    রপ্তানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র (ইআরসি)
৬.    লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন
৭.    টিআইএন (টিন)
৮.   ভ্যাট নিবন্ধনপত্র
৯.    ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র
১০.   বিজিএমইএ/বিএনটিএমইএ/বিসিসিএমএ/বিটিএমএ বা সংশ্লিষ্ট সমিতি -এর সদস্য সনদপত্র
১১.   বাড়ি ভাড়ার চুক্তি অথবা মালিকানার দলিল
১২.   পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র
১৩.   পিডিবি -এর ছাড়পত্র
১৪.   বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধনপত্র
১৫.   বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স জারির জন্য বিনিয়োগ বোর্ডের সুপারিশপত্র
১৬.   লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান
১৭.   জাতীয়তার সনদপত্র
১৮.   পরিচালকবৃন্দ/মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি।
১৯.   মেশিনারিজ আমদানির দলিলাদি
২০.   কারখানার নীল-নকশা ২ সেট
২১.   ফায়ার সার্ভিসের সনদপত্র
২২.   ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ঘোষণাপত্র।

ইদানিং বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, শুল্ক ও আবগারি বিভাগের ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন, ফায়ার বিভাগ থেকে লাইসেন্স, আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তর থেকে ERC, IRC সংগ্রহ করতে হয়।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য:
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট
৩৪২/১ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
রপ্তানী সম্পর্কিত পোষ্ট সমূহ ধারাবাহিক ভাবে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখতে ভুল করবেন না।

তথ্যসুত্র:এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন

32
বর্তমান সময়ে যে দেশ রপ্তানীতে যত এগিয়ে সে দেশ সমৃদ্ধিতেও তত এগিয়ে। আমাদের দেশও এগিয়ে চলেছে সে পথে। তৈরী পোশাক শিল্প আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় খাত। কিন্তু আমাদের অনেকেরই জানা নাই রপ্তানী প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পাদিত হয়। আমরা ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের এ সম্পর্কিত ধারনা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

রপ্তানী প্রক্রিয়ার সর্ব প্রথম ধাপ হচ্ছে এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC) সংগ্রহ করা। চলুন জেনে নিই কিভাবে এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ERC) সংগ্রহ করতে হবে সে সম্পর্কে।

প্রথমধাপে আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস থেকে ইআরসি ফরম সংগ্রহ করুন ।
দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের শাখায় সিডিউল ফি জমা দিন।
তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন ফরম জমা দিন।


Export-Registration-Certificate
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


১.    আবেদনকারীর সত্যায়িত ছবি
২.    ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি
৩.    স্থানীয় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেড এসোসিয়েশন এর মেম্বারশীপ   সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি
৪.    ট্রেজারী চালানের মূল কপি
৫.    পার্টনারশীপ বিজনেসের ক্ষেত্রে পার্টনারশীপ ডিড (সত্যায়িত কপি)
৬.    লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে


– সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন
– আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন
– মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন

ফিঃ সিডিউল ফি ৩,০০০.০০ টাকা, নবায়ন ২,০০০.০০ টাকা।

বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ

আমদানি ও রপ্তানির চীফ কন্ট্রোলারের অফিস
১১১-১১৩ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।

33
BSTI, Health, Environment & Others License / ISO Certification
« on: March 03, 2018, 12:54:14 PM »
ইন্টারন্যাশানাল অর্গানেজশন ফর স্ট্যার্ন্ডাইজেশন এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ISO। ১৯৪৭ সালে ISO প্রতিষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের, জেনেভা শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
ISO মূলত বিভিন্ন ধরনের স্ট্যার্ন্ডাড ডেভেলপ করে থাকে। বিভিন্ন দেশে রেগুলেটরি এ্যাক্রিডেশন বডি আছে মূলত ঐসব সংস্থা থেকেই এ্যাক্রিডেশন সনদ নিয়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেশন বডি ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ দিয়ে থাকে।
এবার আসা যাক ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদের কেন নেওয়া হয় সে প্রসংঙ্গে। ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ মূলত বিভিন্ন অর্গানেজশন / প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিয়ে থাকে। এছাড়াও আরো কিছু বিষয় আছে। যেমন-
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেন্ডারে অংশগ্রহণ, প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রতিষ্ঠানকে স্ট্যাবল রাখা, প্রতিষ্ঠানের ইমপ্লয়ীদের দায়িত্ব এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, ফাইন্যান্সিয়াল ক্ষতি প্রতিরোধ, প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করা ।

ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদের মধ্যে ৯০০১ ( কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম), ১৪০০১ ( ওকুপেশানাল হেলথ এন্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন), ২২০০০ ( ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন ), ১৪০০০ ( ইনভারমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন) সনদ ফ্যাক্টরি এবং বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে বহুল প্রচলিত।

ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ ৯০০১ ( কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) মূলত ডকুমেন্টশন, প্রয়োগ এবং সার্টিফিকেশন এই তিনটা ধাপে পরিচালিত হয়। এ সনদের আবশ্যিক শর্ত্গুলো ISO সিস্টেম সার্টিফিকেশন ১৭০২১ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা। এ সনদ সাধারনত তিন বছর মেয়াদী প্রদান করা হয় এবং পিরিয়ডিক অডিট সম্পাদিত হয় ( সাধারনত বছরে একবার)।

আমাদের দেশে মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ISO ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ডের সনদ নিয়ে থাকে, যার মধ্যে কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ৯০০১ : ২০০৮ টাই বেশি প্রচলিত।বাংলাদেশে নিজস্ব কোনো ISO স্ট্যার্ন্ডাড সার্টিফিকেশন বডি নেই, তবে বিভিন্ন ইউ.কে. , ইউ.এস. বেইসড সার্টিফিকেশন বডির এজেন্ট আছে, তারমধ্যে URS (United Registrar of systems) Certification, Bureau Veritas, DAS certification, BAB (The British Assessment Bureau), Intertek, SGS অন্যতম।

UKAS (United Kingdom Accreditation Service) হচ্ছে ইংল্যান্ডের রেগুলেটরি এ্যাক্রিডেশন বডি যার কাছ থেকে বিভিন্ন সার্টিফিকেশন বডি যেমন URS , DAS Certification, BAB এ্যাক্রিডেশন নিয়েই তবে বিভিন্ন ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ দিয়ে থাকে।

আন্তর্জাতিক বাজারে পন্যের বাজারজাত করণে ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদের প্রয়োজন হয়। এজন্য অবশ্যই যেসব সার্টিফিকেশন বডির এ্যাক্রিডেশন আছে তাদের কাছ থেকেই সনদ নিতে হবে। এ ধরনের সার্টিফিকেটে সার্টিফিকেশন বডি এবং এ্যাক্রিডেশন বডি দুই পক্ষেরই লোগো থাকে।

উদাহারণ-স্বরুপ কেউ যদি URS (United Registrar of systems) Certification থেকে ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ ৯০০১ নিয়ে থাকে তবে সে প্রতিষ্ঠান একদিকে URS এবং অন্যদিকে এ্যাক্রিডেশন বডি UKAS (United Kingdom Accreditation Service) এর লোগো সম্বলিত সনদ পাবে এবং সেটা যেকোনো প্রযোজনে ব্যবহার করতে পারবে। ,

ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ যাদের কাছ নেবেন তাদের সর্ম্পকে সনদ ফি ছাড়াও যে জিনিসগুলো জেনে নিতে হবে

-কাস্টমার কেয়ার
-সনদের মেয়াদকাল
-এ্যাক্রিডেশন
-পুনরায় সার্টিফিকেশন অডিট ফি
– ISO ট্রেনিং ইত্যাদি।


এবার আসা যাক আসল ব্যাপার অডিট নিয়ে। অডিট হচ্ছে স্ট্যার্ন্ডাড সনদের প্রয়োজনীয় / আবশ্যিক বিষয়গুলোর ভেরিফিকেশন, যেমন পর্যেবেক্ষণ/পরীক্ষা ইত্যাদি।

অভ্যন্তরীন অডিট যেটা মূলত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয়, যার প্রধান উদ্দেশ্যেই থাকে সার্টিফিকেশন বডি কর্তৃক প্রদত্ত স্ট্যার্ন্ডাডকে মিলিয়ে দেখা, কোথাও কোনো গ্যাপ আছে কিনা ইত্যাদি। সবশেষে সার্টিফিকেশন বডি কর্তৃক অডিট যেটার উপরিই নির্ভর করে থাকে ISO স্ট্যার্ন্ডাড সনদ প্রাপ্তি।



34
BSTI, Health, Environment & Others License / How to Open LC
« on: March 03, 2018, 12:50:47 PM »

আমদানি রপ্তানির ব্যবসা করতে চান…? অথচ জানেন না এলসি কিভাবে খুলতে হয়…

বর্তমান বিশ্বায়নের এ সময়ে প্রায় সব ধরনের ব্যাবসা বাণিজ্যই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ কাউকে চেনেন না। সেক্ষেত্রে বিক্রেতার একটু বাড়তি ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা এলসি বা লেটার ওব ক্রেডিট চান।

বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে চাইলে অবশ্যই ব্যাংকের মারফত এলসি খুলতে হয়। আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র বৈধ মাধ্যম হল এলসি। এলসির মাধ্যমেই ব্যবসায়ীরা একদেশ থেকে অন্য দেশে পন্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে।

এলসি করতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে…

১. এলসি করার জন্য সর্বপ্রথম দরকার হবে আপনার ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স এবং এটি অবশ্যই আপটুডেট হতে হবে।
২. সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট।
৩. একটি গ্রহনযোগ্য আইআরসি (IRC-Import Registration Certificate)
৪. স্থানীয় বাণিজ্য চেম্বার বা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে সদস্যপদ সার্টিফিকেট।
৫. আয়কর ছাড়পত্র বা নতুন কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর ঘোষণা পত্র।
৬. মূসক নিবন্ধন সনদপত্র।

এলসির জন্য আবেদনের পূর্বে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র দরকার হবে

১. এলসি আবেদন ফর্ম
২. ইনডেন্ট / পারফর্মা ইনভয়েস (PI)/ ক্রয় আদেশ / ক্রয় চুক্তি
৩. যথাযথভাবে ও সঠিকভাবে কার্যকর চার্জ নথি
৪. যথাযথভাবে সিল ও স্বাক্ষরিত এলসি অনুমোদন ফরম (LCAF)
৫. বীমা সংক্রান্ত নোট

এসকল কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর যে ব্যাংকে আপনি এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের নিকট কাগজপত্র গুলো দাখিল করতে হবে। তবে অবশ্যই সেই ব্যাংকে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংক কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে দেখতে কয়েকদিন সময় নিবে। এলসির সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেই জানিয়ে দিবে।

ব্যাংকের সাথে আপনার এলসি বিষয়ক লেনদেন কেমন হবে…

প্রথম দিকে ব্যাংকে আপনার পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরুন আপনার এলসি ভ্যালু ৪০,০০০ ডলার। তাহলে ব্যাংকে আপনাকে ৩২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে আপনার ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে পারবেন। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আরও কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।

যেমন: আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)
ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট
ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিতে হয়)

এরপর ব্যাংক আপনাকে আপনার কাংখিত এলসির একটা কপি দেবে। আর অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে।

এলসির মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক লেনদেন হবে যেভাবে…

সকল ব্যাবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে দুটি পক্ষ থাকে একজন ক্রেতা আর একজন বিক্রেতা। এলসির মাধ্যমে আপনার লেনদেন প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হবে চলুন সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

১. ক্রেতা প্রথমে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করবেন।
২. ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
৩. ইস্যুকৃত এলসি ব্যাংক থেকে বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন।
৪. বিক্রেতার পরামর্শকারী ব্যাংক এলসির কাগজপত্র গুলো বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন।
৫. কাগজপত্র গুলো দেখে বিক্রেতা শিপমেন্টের তারিখ ক্রেতাকে জানাবেন। এবং সাথে সাথে বিক্রেতা লেনদেনের সকল কাগজপত্র পরামর্শকারী ব্যাংককে দিবেন।
৬. পরামর্শকারী ব্যাংক কাগজপত্র গুলো ক্রেতা যে ব্যাংকে এলসি করেছেন সেই ব্যাংকে পাঠাবেন।
৭. কাগজপত্র গুলো পর্যালোচনা করে এলসি ইস্যুকৃত ব্যাংক লেনদেনের ছাড়পত্র পাঠাবেন পরামর্শ দানকারী ব্যাংকের নিকট পাঠাবেন। এবং সাথে সাথে একটি ছাড়পত্র ক্রেতার নিকট পাঠাবেন। পরামর্শ দানকারী ব্যাংকও একটি ছাড়পত্র বিক্রেতার নিকট পাঠাবেন।

আর এ ছাড়পত্র পাওয়ার পর ক্রেতা-বিক্রেতা লেনদেনের জন্য প্রস্তুত।

এলসি’র পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আপনার করণীয় কাজ…

ব্যাংকে অবশ্যই আপনার নিজস্ব কোম্পানীর একাউন্ট থাকতে হবে। পণ্য বা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীর নিকট থেকে পি আই /প্রোফরমা ইনভয়েজ আনতে হবে। পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ –এ পণ্য বা যন্ত্রাংশের মূল্য, পরিমাণ ও শর্তাবলী উল্লেখ থাকে। পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ – এর কাগজ কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক / পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীল প্রদান পূর্বক যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সেখানে জমা দিতে হবে।

পি আই/প্রোফরমা ইনভয়েজ এর কাগজ পাওয়ার পর ব্যাংক থেকে ৬টা ফরম প্রদান করে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক / পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষর ও সীল প্রদান সাপেক্ষে ফরম ৬টি এবং এলসি মার্জিনের সর্বনিম্ন শতকরা ২০ ভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

নিজ দায়িত্বে অথবা ব্যাংকের সহায়তায় আমদানীকৃত পণ্য/যন্ত্রাংশের বীমা করতে হয়। বীমা ও ব্যাংকের কাগজপত্র সরবরাহকারীর নিকট পাঠালে সে পণ্য বা যন্ত্রাংশ সমুদ্র/সড়ক পথে প্রেরণ করে। স্থল/সমুদ্র বন্দরে পণ্য/যন্ত্রাংশ পৌঁছানোর পর এলসি–এর বাকী অর্থ ব্যাংকে পরিশোধ করতে হয়। এরপর ব্যাংক এন ও সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে। এই এন ও সি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোম্পানী মনোনীত সি এন্ড এফ এজেন্টের মাধ্যমে স্থল/সমুদ্র বন্দরের শুল্ক বিভাগে প্রদর্শন ও অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করে পণ্য বা যন্ত্রাংশ খালাস করতে হয়।

35
বর্তমানে সারাবিশ্বে পরিবেশ সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচেছ। আর পরিবেশ রক্ষা করে শিল্প কারখানা স্থাপন করার উপরও বাড়ছে গুরুত্ব। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নিতে হবে ছাড়পত্র। চলুন তাহলে জানি কিভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে।

বাংলাদেশে যে কোন স্থানে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। এর জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ইন্সপেক্টর কর্তৃক ইন্সপেকশনের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র
২. ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৩. বর্জ্য নির্গমন ও পরিশোধন ব্যবস্থার নকশা
৪. লে-আউট প্ল্যান (বর্জ্য পরিশোধনাগারের অবস্থান নির্দেশিত দাগ, খতিয়ান উল্লেখপূর্বক মৌজাম্যাপ)।
৫. উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফ্লো-ডায়াগ্রাম
৬. আইইই (Initial Environmental Examination) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৭. ইআইএ ( Environment Impact Assessment) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৮. ইএমপি ( Environmental Management Plan) রিপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৯. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/ রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১০. ট্রেজারী চালানের কপি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে হলে নিম্নরূপ হারে ফি দিতে হবেঃ
বিনিয়োগ (টাকা) ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ফি (টাকা) নবায়ন ফি (টাকা)
১ – ৫ লক্ষ ১,৫০০ ৩৭৫
৫ – ১০ লক্ষ ৩,০০০ ৭৫০
১০ – ৫০ লক্ষ ৫,০০০ ১,২৫০
৫০ লক্ষ – ১ কোটি ১০,০০০ ২,৫০০
১ – ২০ কোটি ২৫,০০০ ৬,২৫০
২০-৫০ কোটি ৫০,০০০ ১২,৫০০
৫০ কোটির অধিক ১,০০,০০০ ২৫,০০০

আবেদন ফরম পাওয়া যাবে এখানে: http://www.doe-bd.org/download.html
বিস্তারিত তথ্যের জন্য :
পরিবেশ অধিদপ্তর
ই-১৬ আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭
ফোনঃ ৮১১২৪৬১, ওয়েব : http://www.doe-bd.org/

36
BSTI, Health, Environment & Others License / Fire License
« on: February 26, 2018, 06:11:42 PM »
যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা থাকা এবং ফায়ার লাইসেন্স গ্রহন করা অত্যাবশ্যকীয় শর্ত। আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে ফ্যাক্টরি বা ভবনের জন্য ফায়ার লাইসেন্স করতে হয়। এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব আপনাদের।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স দপ্তর থেকে ফায়ার লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে আপনাকে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জানি…১. আপনার ভবনের লে-আউট প্ল্যান।
২. মালিকানার দলিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা
৩. মিউনিসিপালিটি/সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদের মূল্যায়ন সার্টিফিকেট।
৪. ট্রেড লাইসেন্স (লিমিটেড কোম্পানি হলে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন এবং
মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের কপি)
৫. প্লাষ্টিক/ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রির ক্ষেত্রে কমিশনার/স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনাপত্তিপত্র।
৬. প্লাষ্টিক/ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রির ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর অনাপত্তিপত্র।ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর ইন্সপেকশনের পর ডিমান্ড নোট ইস্যু করবেন। এই ডিমান্ড নোটের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে আপনাকে। পুনরায় ইন্সপেকশন শেষে সমস্ত শর্ত পূরণ হলে ফায়ার লাইসেন্স পাওয়া যাবে।বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স
সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন, ঢাকা
ফোনঃ ৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫১৩০০

37
BSTI, Health, Environment & Others License / BSTI Licensing Procedures
« on: February 26, 2018, 06:07:21 PM »

সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন এবং আমাদনিকৃত পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই ছাড়পত্র প্রদানের ধাপসমূহ: বাধ্যতামূলক পণ্য অথবা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত পণ্য উভয় ক্ষেত্রে একজন উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী অথবা আমদানিকারক বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে তাদের পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দরখাস্ত ফরম যথাযাথভাবে পূরণ পূর্বক বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ের এবং আঞ্চলিক অফিসের ‘‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’’ এ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং দরখাস্ত ফি সহ জমা প্রদান করতে হবে।

যে সকল কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে:
কারখানার ঠিকানায় প্রাপ্ত হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স,
আয়কর পরিশোধের হালনাগাদ প্রতয়ণ পত্র,
টেডমার্কস রেজি,
কারখানার লে – আউট,
কারখানায় স্থাপিত যন্ত্রপাতির তালিকা,
প্রিমিসেস লাইসেন্স (খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে)
কারখানায় নিয়োজিত কর্মচারীদের স্বাস্থ্যগত সনদ (খাদ্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে)
পণ্য প্রক্রিয়ার ফ্লো চার্ট
কারখানার পরীক্ষাগারে স্থাপিত যন্ত্রপাতির তালিকা
কারখানার পরীক্ষাগারে সম্পাদিত পরীক্ষণ কার্যক্রম (এসটিআই)
পরীক্ষণ কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের জীবন বৃত্তান্ত
উৎপাদিত পণ্যের পরিচিতিমূলক লেবেল/মোড়ক (‘‘প্যাকেজ কমোডিটিজ রুলস, ২০০৭’’ অনুযায়ী)
আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকৃত পণ্যের এলসি’র কাগজপত্র, প্যাকিং লিষ্ট, ইনভয়েস, স্বাস্থ্যসনদ, কান্ট্রি অব ,অরিজিন, পণ্যের লেবেল বা লেবেলের নমুনা যাহাতে আমদানিকারকের নাম-ঠিকানা ও এলসি নং, বিএসটিআই লগো, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে ইট ভাটার লাইসেন্স।

দরখাস্ত জমা প্রদানের পর যাচাই পূর্বক ৬(ছয়) কার্যদিবসের মধ্যে কারখানা পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তর, কারখানায় বিদ্যমান পরীক্ষণ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত অবস্থা, পণ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাদি এবং পরীক্ষণ কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়।

কারখানা পরিদর্শন প্রতিবেদন সমেত্মাষজনক পাওয়া গেলে উৎপাদনের স্তর হতে অথবা কারখানায় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ হতে দৈবচয়ণ ভিত্তিতে পরীক্ষণের জন্য যৌথস্বাক্ষরে পণ্যের নমুনা সীলগালা করা হয়।

বিএসটিআই অথবা বিএসটিআই স্বীকৃত কোন পরীক্ষাগারে অগ্রিম পরীক্ষণ ফিসহ সংগৃহীত পণ্যের নমুনা জমা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান বরাবরে পত্র দেয়া হয়।

পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সিএম লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়নের জন্য সার্টিফিকেশন কমিটির বরাবরে প্রস্তাব পেশ করা হয় এবং অনুমোদনের পর লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়নের নিমিত্তে সিএমফি’র বিল প্রেরণ করা হয়।। সিএমফির বিল পরিশোধের পর লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়ন স্বাক্ষর পূর্বক জারী করা হয়।
৩ (তিন) অর্থ বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়ন করা হয়। প্রতি বছর একাধিকবার বাজার ও কারখানা সার্ভিল্যান্স করে পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও গুণগত মান যাচাই করা হয়।

সংগৃহীত সকল নমুনা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানের সমকক্ষ না হলে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান এবং ইস্যুকৃত সিএম লাইসেন্স স্থগিত অথবা প্রত্যাহার করা হয়। লাইসেন্স স্থগিত অথবা প্রত্যাহার করার পর উক্ত পণ্যের বাজারজাত ও বিক্রি অথবা পণ্যের লেবেলে/মোড়কে বা বিজ্ঞাপণে বিএসটিআই গুণগতমান চিহ্নের ব্যবহার বিএসটিআই অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।

লাইসেন্সের মেয়াদ উর্ত্তীণের ৩(তিন) মাস পূর্বে নবায়নের জন্য একইভাবে আবেদন পত্র জমা দিতে হয়।
এ্যাক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত পণ্য ব্যতীত অন্যান্য সকল পণ্যের ক্ষেত্রে দরখাস্ত জমা হবার পর মোট ৩৮ কার্যদিবসের মধ্যে লাইসেন্স প্রদান অথবা নবায়নের কাজ সম্পাদন পূর্বক লাইসেন্স জারী করা হয়।

আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতি কনসাইনমেন্ট বা লট ভিত্তিক পণ্য পরীক্ষণ এবং গুণগতমানের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। তবে যে সকল পণ্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী পরীক্ষণ সময় বেশী প্রয়োজন হয়, সে সকল ক্ষেত্রে চুড়ান্ত ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে বাজারজাত না করার শর্তে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।

নতুন লাইসেন্স গ্রহণের জন্য আবেদন পত্রের সাথে দরখাস্ত ফি বাবদ টাঃ১,০০০.০০ (টাকা এক হাজার) মাত্র এবং নবায়নের আবেদন পত্র জন্য দরখাস্ত ফি বাবদ টাঃ ৫০০.০০ (টাকা পাঁচ শত) মাত্র জমা দিতে হয়। প্রতিটি নমুনা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান অনুযায়ী পরীক্ষণের জন্য পণ্যভিত্তিক নির্ধারিত পরীক্ষণ ফি জমা দিতে হয়।

লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের প্রাক্কালে নির্ধারিত মার্কিং ফি’র হার অনুযায়ী সিএম ফি অগ্রিম পরিশোধের জন্য বিল প্রেরণ করা হয় এবং বিল পরিশোধের পর লাইসেন্স প্রদান/নবায়ন করা হয়।

i) লাইসেন্স ফি: টা: ২০০/= প্রতি বছর

ii) মার্কিং ফি: ফল জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে টা: ০.০৭% হারে (এক্স ফ্যাক্টরী: মূল্য) এবং সর্বনিম্ন টা: ১২৫০.০০ ও সর্বোচ্চ টা: ১০.০০.০০০.০০ ত্রবং অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে টা: ০.১০% হারে ( এক্স ফ্যাক্টরী মূল্য) যা সর্বনিম্ন টা: ১৮৭৫.০০ ও সর্বোচ্চ টা: ১৫,০০,০০০.০০ মাত্র।

সার্ভিল্যান্সকালে পরীক্ষণের জন্য সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষান্তে পরীক্ষণ ফি সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধ করা হয়।

তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট।

38

Quote
ব্যবসার জন্য কোম্পানীর রেজিষ্ট্রেশন ফি!
ব্যবসার জন্য একজন উদ্যোক্তা পাবলিক বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি তৈরি করতে পারবেন। কোম্পানি তৈরি করে প্রথমেই কোম্পানির রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। কোন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের প্রথম ধাপ হল কোম্পানি নিবন্ধন। যে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন করতে হবে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত নামে পূর্বে কোন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখাই এর উদ্দেশ্য, যাতে একই নামে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন না হয়। নামের ছাড়পত্র হলো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট। রেজিষ্ট্রেশনের পর সেই কোম্পানির নামে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে।

সেবার পরিধি: সরকারি সেবা।

সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস অব দি রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস। নামের ছাড়পত্রটি ১৮০দিন পর্যন্ত বহাল থাকে। এর মধ্যেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিতে হয়। অন্যথায় নামের ছাড়পত্রটি বাতিল হয়ে যাবে।

প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদনের উপায়: রেজিস্টার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস এর অফিসে বা এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করতে পারেন। যথাযথভাবে আবেদনপত্রটি পূরণ করে ছাড়পত্রের জন্য আরজেএসসি’র নিবন্ধক বরাবর পাঠাতে হবে।

উদ্যোক্তাগণ নতুন প্রতিষ্ঠানের নামের ছাড়পত্র নিয়ে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও ফি সহ নির্ধারিত আবেদন ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করবেন। আরজেএসসি’র নির্ধারিত ফরমেটে প্রতিষ্ঠানের যথাযথ মোমোরেন্ডাম/আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন তৈরি করে আরজেএসসি’র ওয়েব সাইটে গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন ও নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফি নির্ধারিত ব্যাংক এ জমা দেওয়ার মাধ্যমে এই নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।

নিবন্ধনের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

প্রাইভেট কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী:মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন, মূল-কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি
কোম্পানি নিবন্ধনের ঘোষণা
নিবন্ধিত অফিসের অবস্থান বা তার পরিবর্তনের নোটিশ
পরিচালকের সম্মতিপত্র
পরিচালক হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তালিকা
পরিচালক, ব্যবস্থাপক এবং ব্যবস্থাপনা এজেন্টদের তথ্য এবং তাতে কোন পরিবর্তন
নামের ছাড়পত্র

পাবলিক কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী):

মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন, মূল-কপি ও অতিরিক্ত দুই কপি
কোম্পানি নিবন্ধনের ঘোষণা
নিবন্ধিত অফিসের অবস্থান বা তার পরিবর্তনের নোটিশ
পরিচালকের সম্মতিপত্র
পরিচালক হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তালিকা
পরিচালক, ব্যবস্থাপক এবং ব্যবস্থাপনা এজেন্টদের তথ্য এবং তাতে কোন পরিবর্তন
প্রস্তাবিত কোম্পানির যোগ্যতা শেয়ার গ্রহণের চুক্তিপত্র
নামের ছাড়পত্র

ফিঃ প্রাইভেট কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী)

স্ট্যাম্প ফি:

১। মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর জন্যঃ ১০০০ টাকা।

২। আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের জন্যঃ অনুমোদিত মূলধন (টাকা)

১. ২০,০০,০০০ পর্যন্ত ৩,০০০ ফি(টাকা)
২. ২০,০০,০০০ এর অধিক থেকে ৬,০০,০০,০০০ পর্যন্ত ৮,০০০ ফি(টাকা)
৩. ৬,০০,০০,০০০ এর অধিক ২০,০০০ ফি(টাকা)

নিবন্ধন ফিঃ

১। ৬ টি ডকুমেন্ট ফাইল করার জন্য (৫টি ফর্ম এবং ১টি মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের)- ৬ × প্রতি ডকুমেন্ট ৪০০ টাকা= ২৪০০ টাকা

২। অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের জন্যঃ অনুমোদিত মূলধন (টাকা)

১.২০,০০০ পর্যন্ত ৭০০ ফি(টাকা)
২. ২০,০০০ এর অধিক থেকে ৫০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ৩৫০ ফি(টাকা)
৩.৫০,০০০ এর অধিক থেকে ১০,০০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি(টাকা)
৪. ১০,০০,০০০ এর অধিক থেকে ৫০,০০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ৫০ ফি(টাকা)
৫. ৫০,০০,০০০ এর অধিক প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি(টাকা)

৩। ডিজিটাল সার্টিফিকেট সরবরাহ ফিঃ ১০০০ টাকা

পাবলিক কোম্পানি (কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী)

স্ট্যাম্প ফি:

১। মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর জন্যঃ ১০০০ টাকা।

২। আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের জন্যঃ অনুমোদিত মূলধন (টাকা)

১.২০,০০,০০০ পর্যন্ত ৩,০০০ ফি(টাকা)
২.২০,০০,০০০ এর অধিক থেকে ৬,০০,০০,০০০ পর্যন্ত ৮,০০০ ফি(টাকা)
৩. ৬,০০,০০,০০০ এর অধিক ২০,০০০ ফি(টাকা)

নিবন্ধন ফিঃ

১। ৮ বা ৯ টি ডকুমেন্ট ফাইল করার জন্য (৭ বা ৮টি ফর্ম এবং ১টি মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের)- × প্রতি ডকুমেন্ট ৪০০ টাকা= ৩২০০ বা ৩৬০০ টাকা

২। অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের জন্যঃ অনুমোদিত মূলধন (টাকা)

১. ২০,০০০ পর্যন্ত ৭০০ ফি(টাকা)
২.২০,০০০ এর অধিক থেকে ৫০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ৩৫০ ফি(টাকা)
৩. ৫০,০০০ এর অধিক থেকে ১০,০০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি(টাকা)
৪. ১০,০০,০০০ এর অধিক থেকে ৫০,০০,০০০ পর্যন্ত প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ৫০ ফি(টাকা)
৫. ৫০,০০,০০০ এর অধিক প্রতি ১০,০০০ বা এর অংশের জন্য অতিরিক্ত ১০০ ফি(টাকা)

৩। ডিজিটাল সার্টিফিকেট সরবরাহ ফিঃ ১০০০ টাকা।

ফি পরিশোধের উপায়: নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে।
সেবা প্রদানের সময়সীমা: দুই ঘণ্টা।
ছাড়পত্র কার্যকর থাকে: ইস্যুর তারিখ হতে ১৮০ দিন পর্যন্ত।

ছাড়পত্র ডাউনলোডের লিংক:
http://123.49.32.37:7781/Guidlines/Download/Proforma%20application%20for%20name%20clearance.htm

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা: নিবন্ধক, আরজেএসসি
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে:
রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস
টিসিবি ভবন (৭ম তলা)
১, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ফোনঃ ৮১৮৯৪০১, ৮১৮৬৪০৩
ফ্যাক্সঃ ৮১৮৯৪০২
ইমেইলঃ rjsc@roc.gov.vd
ওয়েবসাইটঃ www.roc.gov.bd


(source: http://uddoktarkhoje.com)

39

ভ্যাট ও টার্ণওভার করের মধ্যে একটি ছোট পার্থক্য রয়েছে। ভোক্তার নিকট থেকে আদায়যোগ্য একটি পরোক্ষ করই হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট। শতকরা ১৫ ভাগ হারে এ কর আরোপিত হয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত, সরবরাহকৃত বা আমদানিকৃত সকল পণ্য ও সেবার উপর মূসক প্রযোজ্য, কেবল মূল্য সংযোজন কর আইন বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য/সেবা ব্যতীত। ভ্যাট সাধারণত পণ্য বাজারজাতকরণের সময় নির্ধারণ করা হয়।

করযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকার কম এবং করযোগ্য পণ্য প্রদানকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকার কম তারা সরকারকে যে কর দিয়ে থাকেন তাকে টার্ণওভার কর বলে। কিন্তু উৎপাদন প্রক্রিয়া যখন প্রায় শেষের দিকে থাকে তখন কিছু কোম্পানিকে টার্ণওভার করের আওতাভুক্ত করা হয়। এই কর বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের আওতাভুক্ত নয়।

সেবার পরিধি: সরকারি সেবা
মন্ত্রণালয়: অর্থ মন্ত্রণালয়
সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান: অর্থ বিভাগ
টার্ণওভার করের প্রচলিত হার: শতকরা চার শতাংশ

যাদের জন্য এই নিবন্ধন বাধ্যতামূলক:

যারা বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের আওতাভুক্ত না।
করযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকার কম
করযোগ্য পণ্য প্রদানকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকার কম
যেভাবে আবেদন করবেন:

আবেদনের জন্য আপনাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অফিস থেকে ফর্মটি সংগ্রহ করতে হবে। অথবা অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট অথবা নিচের লিংক থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করা যাবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম, ধরন, প্রতিষ্ঠানটি কোন কর্পোরেট গ্রুপ হয়ে থাকলে তার নাম, প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় ও প্রধান অফিস এবং কারখানার ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, কর প্রদানের সনদপত্র, টিন নম্বর, কোন ধরনের নিবন্ধন এবং আগে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে তার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ফরম পূরণ করে আবেদন দাখিল করতে হবে। নিবন্ধিত হওয়ার পর মূসক বিভাগীয় দপ্তর থেকে মূসক নিবন্ধনপত্র দেওয়া হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

সঠিক ও নির্ভুলভাবে মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধনের আবেদন পত্র ফরম
নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি
জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
টিআইএন সার্টিফিকেটের সত্য্যয়িত কপি
মালিক/ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত ছবি।
আমদানিকারকের ক্ষেত্রে নবায়নকৃত আইআরসি এর সত্যায়িত ফটোকপি।

রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রে নবায়নকৃত ইআরসি এর সত্যায়িত ফটোকপি।
পণ্য উৎপাদনকারীর ক্ষেত্রে মূসক-৭ এ উল্লেখিত তথ্য (ব্লু প্রিন্ট, প্ল্যান্টের বর্ণনা, যন্ত্রপাতির বর্ণনা, উৎপাদিত পণ্য ও ব্যবহৃত উপকরণ সম্পর্কিত ঘোষণা ইত্যাদি)
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র/ প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি।
লিমিটেড কোম্পানির জন্য মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস, এসোসিয়েশন অব আর্টিকেলস এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, পার্টনারশিপ ব্যবসার ক্ষেত্রে অংশীদারীত্বের চুক্তিপত্র
জমির/বাড়ির/ভবনের/প্রাঙ্গণের মালিকানা বা ভাড়া সংক্রান্ত কাগজপত্র

নিবন্ধন ফি: কোন ফি নেই।

নিবন্ধন পত্র পাওয়া যাবে: সাত দিনের মধ্যে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
ফোন-৮৩১৮১২০-২৬, ৮৩১৮১০১-০৮
ওয়েব: www.nbr-bd.org
লিংক: https://goo.gl/RF0WWa


(source: http://uddoktarkhoje.com)

40

Quote
করযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকা।
করযোগ্য পণ্য প্রদানকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকা
যেসব ব্যবসায়ীর উপরে মূল্য সংযোজন কর আরোপ হয়েছে তাদের করদাতা হিসেবে সনাক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কার্যালয় থেকে একটি নম্বর দেওয়া হয়। এই নম্বরটি হল নিবন্ধন নম্বর, আর যে পত্রে এই নম্বর দেওয়া হয় তাকে নিবন্ধন-পত্র বলে।

সেবার পরিধি: সরকারি সেবা
মন্ত্রণালয়: অর্থ মন্ত্রণালয়
সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান: অর্থ বিভাগ
মূসকের প্রচলিত হার: ১৫%

যাদের জন্য এই নিবন্ধন বাধ্যতামূলক:

করযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকা।
করযোগ্য পণ্য প্রদানকারী- যাদের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০ লক্ষ টাকা।
আমদানীকারক।
রপ্তানিকারক।
ব্যবসায়ী (পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা)
যেভাবে আবেদন করবেন:

আবেদনের জন্য আপনাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অফিস থেকে ফর্মটি সংগ্রহ করতে হবে। অথবা অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম, এটা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানটি কোন কর্পোরেট গ্রুপ হয়ে থাকলে তার নাম, প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় ও প্রধান অফিস এবং কারখানার ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, কর প্রদানের সনদপত্র, টিন নম্বর, কোন ধরনের নিবন্ধন এবং আগে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে তার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ফরম পূরণ করে আবেদন দাখিল করতে হবে। নিবন্ধিত হওয়ার পর মূসক বিভাগীয় দপ্তর থেকে মূসক নিবন্ধন-পত্র দেওয়া হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

সঠিক ও নির্ভুলভাবে মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধনের আবেদন পত্র ফরম
নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি
জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
টিআইএন সার্টিফিকেটের সত্য্যয়িত কপি
মালিক/ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি সত্যায়িত ছবি।

আমদানিকারকের ক্ষেত্রে নবায়নকৃত আইআরসি এর সত্যায়িত ফটোকপি।
রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রে নবায়নকৃত ইআরসি এর সত্যায়িত ফটোকপি।
পণ্য উৎপাদনকারীর ক্ষেত্রে মূসক-৭ এ উল্লেখিত তথ্য (ব্লু প্রিন্ট, প্ল্যান্টের বর্ণনা, যন্ত্রপাতির বর্ণনা, উৎপাদিত পণ্য ও ব্যবহৃত উপকরণ সম্পর্কিত ঘোষণা ইত্যাদি)

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র/ প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি।
লিমিটেড কোম্পানির জন্য মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস, এসোসিয়েশন অব আর্টিকেলস এবং সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, পার্টনারশিপ ব্যবসার ক্ষেত্রে অংশীদারীত্বের চুক্তিপত্র
জমির/বাড়ির/ভবনের/প্রাঙ্গণের মালিকানা বা ভাড়া সংক্রান্ত কাগজপত্র
কেন্দ্রীয় নিবন্ধন হলে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় কেন্দ্রের/শাখার তালিকা।
নিবন্ধন ফি: কোন ফি নেই।

নিবন্ধন পত্র পাওয়া যাবে: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
ফোন-৮৩১৮১২০-২৬, ৮৩১৮১০১-০৮
ওয়েব: www.nbr-bd.org
লিংক: https://goo.gl/RF0WWa

ভ্যাট সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে বিনামূল্যে কল করুন: ১৬৫৫৫
ল্যান্ড ফোন বা বিদেশ থেকে কল করুন: ০৯৬৭৮০১৬৫৫৫


(Source:http://uddoktarkhoje.com)

41

Quote
কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো বেশি হলে ফি বাড়বে আর অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো কম হলে ফি আরো কমবে । এছাড়া সরকারি ফি ছাড়াও আরো কিছু খরচ আছে যেমন, আইনজীবী ফি, অফিস ফি ডকুমেন্টেশন ফি ইত্যাদি

কোম্পনি হল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা । সাধারণত কোম্পানি আইনে গঠিত কোন প্রতিষ্ঠানকে কোম্পনি বলে । কোম্পানি হল আইনসৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ।

কোম্পানি গঠনের সুবিধাগুলো কি কিঃ

  • বৃহদায়তন পদ্ধতির উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা
  • ঝুঁকির পরিমান শেয়ার হোল্ডারদের কম থাকা
  • কোম্পানির প্রতি জনগণের আস্থা বেশি থাকা
  • সহজে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ থাকা
  • চিরন্তন অস্তিত্ব থাকা
  • কৃত্রিম ব্যক্ত সত্ত্বা থাকা
  • সহজেই মালিকানা শেয়ার হস্তান্তর যোগ্য

কোম্পনি করতে কি কি লাগেঃ

সর্বনিন্ম ২ জন উদ্যোক্তা
উদ্যোক্তাদের পরিচয়পত্র

রেজিস্ট্রেশন ফি কত টাকাঃ

কোম্পানির ফি নির্ভর করে অথরাইজড ক্যাপিটালের উপর । কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল ১০ লক্ষ টাকা হলে সরকারি ফি হবে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ।

২০ হাজারের উপর আছে ১৫% ভ্যাট (২০,০০০*১৫%) = ৩০০০ টাকা

তাহলে দেখা যাচ্ছে মোট সরকারি খরচ ফি ২৩ হাজার টাকা

কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো বেশি হলে ফি বাড়বে আর অথরাইজড ক্যাপিটাল আরো কম হলে ফি আরো কমবে । এছাড়া সরকারি ফি ছাড়াও আরো কিছু খরচ আছে যেমন, আইনজীবী ফি, অফিস ফি ডকুমেন্টেশন ফি ইত্যাদি ।

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াঃ

১. কোম্পনি গঠনের জন্য প্রথমে ২ থেকে ৫০ জনের মধ্যে যেকোন সংখক উদ্যোক্তা একত্রিত হতে হবে ।

২. আপনাদের কোম্পানির জন্য একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে । এখানে মনে রাখবেন আপনাদের পছন্দের নামের শেষে অবশ্যই লিমিটেড কথাটি থাকতে হবে ।

৩. এবার আপনাদের পছন্দের নামটি জয়েনস্টোকের নামের তালিকায় খালি আছে কিনা তা নিচের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করে দেখুন ।

http://app.roc.gov.bd:7781/psp/rjschome

৪. আপনাদের পছন্দের নামটি খালি থাকলে একজন দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক পছন্দের নামটি আপনাদের নামে রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করুন।

৫. জয়েনস্টোক আপনাদের নামের আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাচাই করে সন্তুষ্ট হলে উক্ত নামের ছাড়পত্র প্রদান করবেন ।

৬. নামের ছাড়পত্র পাবার পর এবার আপনারা একজন দক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানির গঠনতন্ত্র হিসাবে পরিচিত কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করতে হবে।

৭. মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত করার পর এবার কোম্পানি নিবন্ধের আরো অনেকগুলো ফরম আছে উক্ত ফরম গুলো সঠিকভাবে পুরন করুন।

৮. সবকিছু সম্পাদন করার পর এবার কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন চূড়ান্তভাবে সম্পাদন করার জন্য জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইটে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য কাগজপত্রের স্ক্যান কপি সাবমিট করুন

৯. স্ক্যান কপি সাবমিট করার পর জয়েনস্টোকের ওয়েবসাইট থেকে আপনার কোম্পানির অথরাইজ ক্যাপিটালের উপর নির্বর করে নির্ধারিত ফি প্রদানের রসিদ প্রদর্শন করবে ।

১০. এবার আপনাদের উল্লেখিত ফি ব্যংকে প্রদান করতে হবে ।

১১. ফি জমা দেওয়ার পর মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ এ্যাসোসিয়েশন, ব্যংকের ফি জমা রসিদ এবং অন্যান্য অনুসাংগিক কাগজপত্র জয়েনস্টোকের অফিসে গিয়ে জমা প্রদান করতে হবে।

১২. জয়েনস্টোক থেকে আপনার প্রদানকৃত কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের কোম্পানি লাইসেন্স ( Certificate of Incorporation) প্রদান করবেন

১৩. কোম্পানি লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাদের প্রথম কাজ হল উক্ত কোম্পানির নামে একটি ব্যংক একাউন্ট খোলা।

তথ্যসুত্র: বিডি আইন কানুন ডটকম।[/size][/size][/size]

42

Quote
রিটেইলিং স্টাইল পছন্দ না হওয়ায় ইন্ডিয়ান রিটেইল ফোরাম একসময় কিশোর বিয়ানিকে সদস্য করতেও আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু বিগবাজারের ঈর্ষণীয় সাফল্যের কারণে তারাই কিশোরকে বরণ ও পুরস্কৃত করতে বাধ্য হয়েছে।
যারা ভালো ম্যানেজার হতে চান তাদের জন্য বিজনেস স্কুল; উদ্যোক্তার সেখানে শেখার কিছু নেই। একথা বলেছেন কিশোর বিয়ানি। মুম্বাইয়ের এইচআর কলেজে কমার্সের ছাত্র থাকাকালে ক্লাস ফাঁকির যুক্তি দেখাতে তিনি কথাটি বলেন। কিশোর বিয়ানি এ মন্তব্য করতে পারেন। কারণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নিজেকে দারুণভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভারতে রিটেইলিংয়ের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে তার হাইপারমার্কেট চেইন বিগবাজার। সবশেষ অর্থবছরে ৩৬৮ কোটি রুপি নিট মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

ভারতে ব্যাপকভিত্তিক রিটেইলিংয়ের পুরোধা প্রতিষ্ঠান বিগবাজার। ভারতের ২৬টি প্রদেশে বিগবাজার হাইপারমার্কেট মোট ২৫৩টি। চলতি অর্থবছরে আরো ১০০ বিগবাজার উদ্বোধনের পরিকল্পনা জানিয়েছে কিশোর বিয়ানির কোম্পানি ফিউচার রিটেইল লিমিটেড। কিন্তু এটাই কিশোর বিয়ানির একমাত্র ব্যবসা নয়। তার মস্তিষ্কপ্রসূত অ্যাপারেল চেইন প্যান্টালুনস, সুপারমার্কেট চেইন ফুডবাজার, ডিসকাউন্ট অ্যাপারেল চেইন ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরি, স্যুটিং চেইন টপ টেন, ব্লু স্কাই, স্টার অ্যান্ড সিতারার পাশাপাশি নতুন হয়েছে স্মল স্টোর চেইন ইজিডে। ২০১৬ সালে সুনীল মিত্তালের ভারতী গ্রুপ থেকে কেনা ভারতীমার্টের ৫৭১টি স্টোরকে ইজিডেতে রূপান্তর করা হয়েছে। ফ্যাশন লেবেল ইন্ডিগো নেশন, স্প্যালডিং, লোমবার্ড, বেয়ার ছাড়াও ফিউচার রিটেইলের রয়েছে কনজিউমার ব্র্যান্ড টেস্টি ট্রিট, ফ্রেশ অ্যান্ড পিওর, পুন্য, স্যাশ, সানকিস্ট, ক্লিন মেট, কেয়ার মেট, একতা ও প্রিমিয়াম হারভেস্ট। ফিউচার রিটেইলের উপস্থিতি রয়েছে বীমা খাতেও।

ব্যবসার এ বৈচিত্র্য থেকে কিশোর বিয়ানিকে চেনা যায়। পুঁজিবাজার, ফিল্মপাড়াসহ বহু জায়গায় তিনি জড়িত হয়েছেন। ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের ব্যবসাও করেছেন। কিন্তু সবশেষে থিতু হয়েছেন রিটেইলিংয়ে। শিরায় মাড়োয়ারি রক্ত বইছে বলেই হয়তো উদ্যোগের এমন নেশা তার। ব্যবসায়ের ঝোঁকটি তিনি পেয়েছেন পরিবার থেকেই। রাজস্থান ছেড়ে মহারাষ্ট্রের মালাবারে আসে তার পূর্বপুরুষ। ধীরুভাই আম্বানির মতো রেশম কাপড়ের ব্যবসা করতেন কিশোর বিয়ানির দাদা। পারিবারিক মালিকানার বানসি সিল্ক মিলে কাজ করতেন কিশোরের বাবা-চাচারা। এইচআর কলেজে পড়ার সময় ক্লাস থেকে বেরিয়ে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি করতেন কিশোর। চারপাশের মানুষের জীবনধারা লক্ষ করতেন। অধীর অপেক্ষার পর গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হলে তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন। কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক। অন্য কাজিনদের মতো প্রতিদিন সিল্ক মিলের অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তাকেও। পারিবারিক ব্যবসাটি তার সেকেলে মনে হতো। একই ভাবনা ছিল বিয়ানি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের আরো কয়েকজনের। কিন্তু কিশোরের মনে হতো তারাও রক্ষণশীল চিন্তায় বাঁধা পড়ে আছেন; সাহসী উদ্যোগের কথা কেউ বলছেন না। এরই মধ্যে ১৯৮৩ সালে কিশোর বিয়ে করেন। বিষয়টিকে তিনি পারিবারিক ব্যবসার অর্গল ভাঙার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগান।

বন্ধুদের পরনে স্টোনওয়াশড প্যান্ট আগেই দেখেছিলেন। বিয়ের পর তিনিও হাল ফ্যাশনের বাজার ধরতে উদ্যোগী হন। একটি কারখানায় পছন্দের কাপড় খুঁজে বের করে নিজের মনমতো ডায়িং করেন। হোয়াইট, ব্রাউন অ্যান্ড ব্ল্যাক— তিন রঙের কাপড় বিক্রি করবেন বলে ব্র্যান্ডের নাম দেন ডব্লিউবিবি। ধুন্দুমার কাটতি হয় ওই কাপড়ের। কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজেই প্যান্ট তৈরি করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য ১৯৮৭ সালে ব্র্যান্ডজওয়্যার নামে কোম্পানি গঠন করেন। ব্র্যান্ডের নাম দেন প্যান্টালুন। নামটি বেছে নেন, কারণ শুনতে ইতালীয় মনে হয়। আবার উর্দুতে প্যান্টালুন বলতে প্যান্ট বোঝায়। পোশাকের কয়েকটি দোকানে সরবরাহের মাধ্যমে প্যান্টালুন ব্র্যান্ডের বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির ভিত্তিতে বিক্রির উদ্যোগ নেন কিশোর। এরপর ১৯৯১ সালে গোয়ায় প্রথম নিজস্ব প্যান্টালুন শপ উদ্বোধন করেন তিনি। পরের বছর কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করেন। ক্রেতা ও বিনিয়োগকারী উভয়পক্ষের সাড়া পাওয়ায় প্যান্টালুন স্টোরের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৯৬ সাল নাগাদ চেইনটি এত বেশি জায়গায় বিস্তৃত হয় যে, কোম্পানির পক্ষে সব স্টোর পরিদর্শন ও দেখভাল সম্ভব হচ্ছিল না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিশোর বিয়ানি প্যান্টালুনকে বড় পরিসরের রিটেইল আউটলেটে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

কলকাতায় ১০ হাজার বর্গফুটের একটি স্পেসের খোঁজ পান কিশোর বিয়ানি। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শহরটিতে স্টোরগুলোর গড় আয়তন ছিল চার হাজার বর্গফুট। সেখানে এত বড় জায়গা পেয়ে তিনি হাতছাড়া করেননি। ১৯৯৭ সালে কলকাতায় উদ্বোধন করা হয় প্যান্টালুনস ডিপার্টমেন্ট স্টোর। তত দিনে ভারতে স্যাটেলাইট টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়ে উঠেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বাজার অর্থনীতির পথে যাত্রার ধারায় একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণীও বিকাশমান হয়ে উঠেছে। স্টোরগুলোয় তরুণ ও যুবকশ্রেণীর আনাগোনা বাড়ছিল। এসব বিবেচনায় নিয়ে বড় পরিসরে রিটেইলিংয়ের জন্য কিশোর নেন হাইপারমার্কেট উদ্বোধনের প্রস্তুতি। ২০০১ সালে কলকাতায় প্রথম বিগবাজার আউটলেট উদ্বোধন হয়। পরবর্তী ২২ দিনে খোলা হয় আরো দুটি বিগবাজার। ২০০২-০৩ মৌসুমে পর পর দুটি হিন্দি ছবি প্রযোজনায় লোকসান দেন কিশোর বিয়ানি। এরপর শুরু হয় ভারতীয় অর্থনীতির শ্লথগতি। এদিকে চেইনের অতি দ্রুত ও বাছবিচারহীন বিস্তৃতির কারণে কোম্পানির ঋণ ও দেনা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ২০১২ সালে প্যান্টালুনের ৫১ ভাগ মালিকানা আদিত্য বিড়লা গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হন কিশোর বিয়ানি। তবে বছর ঘুরতেই তিনি ঘুরে দাঁড়ান।

কিশোর বিয়ানিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে বিগবাজার। গোড়া থেকে দারুণ পারঙ্গমতায় ব্যবসাটি পরিচালনা করেছেন তিনি। রিটেইলিং স্টাইল পছন্দ না হওয়ায় ইন্ডিয়ান রিটেইল ফোরাম একসময় কিশোর বিয়ানিকে সদস্য করতেও আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু বিগবাজারের ঈর্ষণীয় সাফল্যের কারণে তারাই কিশোরকে বরণ ও পুরস্কৃত করতে বাধ্য হয়েছে। বহুজাতিক রিটেইল আউটলেটের চেয়ে পুরোপুরি ভিন্ন ঘরানার স্টোর বিগবাজার। অন্যরা যখন ছিমছাম স্টোর ডিজাইনে জোর দেন, কিশোর তখন বিগবাজারকে সাজিয়েছেন কিছুটা ঘিঞ্জি চেহারায়। ভোক্তারা যাতে সনাতন ভারতীয় মুদি ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সঙ্গে মিল খুঁজে পান, সেজন্য এ কৌশল। ভারতে প্রতিনিয়ত মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে শিকড়ছেঁড়া এসব মানুষই হয়ে উঠছে বর্ধিষ্ণু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অংশ। মধ্যবিত্ত মনস্তত্ত্বে নানা জটিলতা কাজ করে, ঝুঁকি থাকে হীনম্মন্যতা দানা বাঁধার। উঠতি মধ্যবিত্তরা যাতে বিক্রয়কর্মীর অতি সুবেশ ও কেতাদুরস্ত ভাব দেখে অস্বস্তি বোধ না করেন, সেজন্য বিগবাজার কর্মীদের নিজেকে সাধারণভাবে উপস্থাপনের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। বহুজাতিক চেইন ও কোম্পানিগুলো প্রচারণার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু বিগবাজার কম প্রচারণাতেই তাদের চেয়ে বেশি সাড়া পায়। এর কারণ হলো, বিগবাজার কখনো হিন্দি ছাড়া অন্য ভাষায় বিজ্ঞাপন নির্মাণ বা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেনি। সালকা সাবসে সাস্তা দিন অথবা সাবসে সাস্তা বুধবার, এমন শিরোনামের প্রমোশনে সহজেই ভারতের এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে নিজের দিকে টানার রেকর্ড করেছে বিগবাজার।

বিগবাজারের সাফল্যে ভর করে ফিউচার রিটেইল জড়িত হয়েছে টেলিকম, ই-রিটেইলিং, ফুড প্রসেসিং, ইলেকট্রনিকসসহ নানা ব্যবসায়। কিশোর বিয়ানির ও তার সৃষ্ট ব্র্যান্ডগুলোর ঝুলিতে এসেছে ভারতের ভেতর-বাইরের অর্ধশতাধিক পুরস্কার। ভারতের নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ধারায় ক্রমে আরো দূরের গন্তব্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে বিগবাজার।


গ্রন্থনা: সাঈদ হাসান
(http://bonikbarta.net)

 

43
বৈধভাবে যেকোনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা বাধ্যতামূলক। সাধারণত সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা জেলা পরিষদ এই লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহারযোগ্য নয়।

ঢাকায় কীভাবে আবেদন করবেন?

ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) তার নাগরিকদের সেবা দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনকে কতগুলো অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে। আপনার প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, ওই অঞ্চলের অফিস থেকেই লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সিটি করপোরেশনের দুই ধরনের ফরম রয়েছে। আপনি যে ধরনের ব্যবসা করছেন বা করতে ইচ্ছুক, তার ওপর ভিত্তি করে ফরম নেবেন। ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি জমা দিয়ে মূল ট্রেড লাইসেন্স বই সংগ্রহ করতে হবে। সিটি করপোরেশনের দ্বারা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত হতে পারে এবং এর প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স ফি পরিশোধের মাধ্যমে লাইসেন্স দেওয়া হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্থানটি নিজের হলে সিটি করপোরেশনের হালনাগাদ করের রসিদ এবং ভাড়ায় হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র বা রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি লিমিটেড হলে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ও সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন দিতে হবে। প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান, কারখানা বা কোম্পানির পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার নকশাসহ ওই স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনামাও দাখিল করতে হবে। এসব ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হয়। যেমন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ওপরের সব দলিলের সঙ্গে পরিবেশসংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান চিহ্নিত মানচিত্র ও অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতিসংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন, ছাপাখানা ও আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি, রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মানবসম্পদ রপ্তানি ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স, অস্ত্র ও গোলাবারুদের জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স, ট্রাভেল এজেন্সির ক্ষেত্রে সিভিল এ্যাভিয়েশনের অনুমতিপত্র, সিএনজি স্টেশন বা দাহ্য পদার্থের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

লাইসেন্স নবায়ন

লাইসেন্স নবায়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। একটি লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর এবং এর মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এ জন্য আগের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আঞ্চলিক কর কর্মকর্তা নবায়নকৃত লাইসেন্স প্রদান করবেন। লাইসেন্স নবায়ন ফি নতুন লাইসেন্স ফির সমান। এই ফি আগের মতোই ফরমে উল্লিখিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

কত টাকা ও কত দিন লাগে?

লাইসেন্স ফি ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। এই ফি সংশ্লিষ্ট অফিসে রসিদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। লাইসেন্স ফি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।

লাইসেন্স বাতিল

মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে, লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্তাবলি এবং সিটি করপোরেশনের আইন ও বিধি মেনে না চললে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া লাইসেন্স গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে গ্রহীতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হবে।

Pages: 1 2 [3]