Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Rashadul Islam

Pages: [1] 2 3
1
উদ্যোক্তারা প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারনত কিছু ভুল করে থাকে



উদ্যোক্তারা প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারনত কিছু ভুল করে থাকে, যা সহজে শোধরান যায় না অথবা অনেক বড় মাশুল দিতে হয়। এমনকি ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়। যেমনঃ
• নির্দিষ্ট কোন ব্যাবসায় দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সেই ব্যবসা শুরু করা
• ব্যবসা শুরুর আগে বাজেট বা পরিকল্পনা না করা
• বাজার যাচাই না করেই আন্দাজে চাহিদা, বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি হিসাব করা
• ব্যবসা শুরুর আগেই লাভ হিসাব করে অহেতুক খরচ করা
• অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট না করা
• ব্যবসার পণ্য, স্থান, কর্মী নির্ধারণে (ব্যবসা ব্যতিত) অন্য কোন ইস্যু বিবেচনা করা

ব্যবসা পরিচালনার সময় উদ্যোক্তারা যে ভুলগুলো করে বা করতে পারেঃ
• ব্যক্তিগত সম্পর্কর সাথে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলা
• ব্যবসায় পর্যাপ্ত সময় না দেয়া
• হিসাব পত্র ঠিক না রাখা
• যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা ছাড়া (কারো প্ররোচনায় বা অন্য কাউকে দেখে) ব্যবসার পণ্য, উদ্দেশ্য ইত্যাদি পরিবর্তন করা।

আপনারা পড়ছেন, ব্যবসা আরম্ভ করতে চাইলে (উদ্যোক্তা উন্নয়ন)

নতুন উদ্যোক্তা কয়েক প্রকার ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারে। যেমনঃ
• শিক্ষা, যোগ্যতা বা দক্ষতা উদ্ভুত (যেমন, বুয়েটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার ব্যবসা শুরু করতে পারে)
• অভিজ্ঞতা উদ্ভুত (যেমন গার্মেন্টসের প্রডাকশন ম্যানেজার গার্মেন্টস কারখানা চালু করতে পারে)
• সম্পদ উদ্ভুত (গ্রামে উত্তারাধিকার সুত্রে পাওয়া কিছু পুকুরে মাছ চাষ শুরু করতে পারে)
• বাজার সংশ্লিষ্ট (গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রাক্তন কোন কর্মচারী উক্ত গার্মেন্টসে কার্টুন সরবরাহ শুরু করতে পারে)
• সরবরাহ উদ্ভুত (যশোরের কোন তরুন ফুল উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিদেশে রপ্তানি করতে পারে)

তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট অবলম্বনে।

2
বিনিয়োগকারীরা আইডিয়া বা প্রোডাক্ট দেখেনা, তারা দেখে আপনাকে

শারীরিক, সামাজিক, এবং আর্থিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নুসরাত জাহান তার ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্ট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সামনের দিকে। পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করে কিছু দিন চাকরি করলেও তাতে মন বসাতে পারেন নি। কারণ দেশের জন্য, সমাজের জন্য এবং বিশেষ করে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করার চিন্তা তাকে মানসিক পীড়া দিচ্ছিলো। অবশেষে সাহস নিয়ে নানা রকম বাঁধার পাহাড় ডিঙিয়ে নেমে গেলেন ব্যবসায়ে। সেই গল্পই শুনাবেন তিনি আজ বিনির্মাণের কাছে।

বিনির্মাণ

আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কাজের সম্পর্কে বলুন।

নুসরাত জাহান

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করি এবং মাস্টার্স করেছি জার্মানি থেকে ইউজেবিলিটি ইঞ্জনিয়ারিংয়ের উপর। এটি আইটিরই একটি অংশ। ২০১৬ সালে আমার কোম্পানী ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্ট কাজ শুরু করে। এরকম একটা কোম্পানী গড়ে তোলার ইচ্ছা ছিলো অনেক আগ থেকেই। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরবর্তীতে সুযোগ আসে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সরকারি সেই প্রতিযোগিতায় আমার ব্যবসায়ের ধারণাটি পছন্দ হওয়ায় আমাকে ফান্ডিং করা হয়। তারপরই আমি সাহস পাই এই ধরণের একটি বিজনেস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

বিনির্মাণ

কোম্পানীটি প্রতিষ্ঠা করার পিছনে কোন জিনিশটি বেশি ভূমিকা পালন করেছে?

নুসরাত জাহান

আমি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড একজন মানুষ। জন্ম থেকেই আমার ডান হাত বিকল। আমার লক্ষ্য ছিলো এসব মানুষদের জন্য কিছু করবো। সুতরাং তাদের জন্য কাজ করার আকুলতা নিয়েই আমার পণ্যটি তৈরি করছি। আমার পণ্য হচ্ছে ফিজিওট্র্যাক। এটা শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের শারীরিক ব্যায়াম সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে অটো রিপোর্ট তৈরি হবে। তারা চাইলে পরবর্তীতে সেই রিপোর্ট ডাক্তারদেরকে দেখাতে পারবে। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে রোগীকে পরামর্শ প্রদান করবেন।  আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এই ধরণের কিছু করার মোটিভেশন পেয়েছি। ছোটবেলা থেকে আমি আমার হাতের নিয়মিত ব্যায়াম করতাম না। অথচ আমার জন্য ব্যায়াম করাটা জরুরি ছিলো। সেখান থেকেই আমার ভাবনা ছিলো যদি এমন কিছু করা যায় যার কারনে মানুষ ব্যায়াম করার প্রতি আগ্রহী ও  উদ্বুদ্ধ হবে। তখন থেকেই পরিকল্পনা করি। কিন্তু শুরু করতে পারছিলাম না বিনিয়োগ করার মত পর্যাপ্ত মূলধন ছিলো না বলে। অতঃপর সরকারী সহায়তায় মাঠে নামার সাহস পাই।

ছোটবেলা থেকে আমি আমার হাতের নিয়মিত ব্যায়াম করতাম না। অথচ আমার জন্য ব্যায়াম করাটা জরুরি ছিলো। সেখান থেকেই আমার ভাবনা ছিলো যদি এমন কিছু করা যায় যার কারনে মানুষ ব্যায়াম করার প্রতি আগ্রহী ও  উদ্বুদ্ধ হবে। তখন থেকেই পরিকল্পনা করি।

বিনির্মাণ

আপনার পণ্য কি শুধু ফিজিওট্র্যাক? নাকি আরো পণ্য মার্কেটে সরবরাহ করেন? এবং এ ধরণের পণ্যের টার্গেট মার্কেট কোনটি?

নুসরাত জাহান

ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্টের মূল পণ্য হচ্ছে ফিজিওট্র্যাক। এর প্রাথমিক টার্গেট মার্কেট হচ্ছে ফিজিওথেরাপি সেন্টার বা হাসপাতাল। এছাড়াও আমরা অগমেন্টেড রিয়ালিটি ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে কাজ করি। ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ফার্নিচার নিয়ে, পেইন্টিং নিয়ে আমরা কাজ করি। আমরা চাই বাংলাদেশে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে নতুন কিছু উপহার দিতে। বাংলাদেশে প্রথম অগমেন্টেড রিয়ালিটির গেইম ‘কিলোফ্লাইট’ কিন্তু আমাদেরই  তৈরি করা।

বিনির্মাণ

ইন্টারেক্টিভ আর্টিফ্যাক্টের জন্য কারো কাছ থেকে বিনিয়োগ নিয়েছেন কি?

নুসরাত জাহান

হ্যা। আমরা নিয়েছি।

বিনির্মাণ

কীভাবে পেয়েছেন এই বিনিয়োগ?

নুসরাত জাহান

শুরুতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন ফান্ড আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আইডিয়া সাবমিশনের মাধ্যমে আমরা সেই ফান্ডটা প্রাপ্ত হই। এ বছর  মার্চ মাসে ইনভেস্টমেন্ট বা ফান্ড উত্তোলন করলাম বিডি ভেঞ্চার থেকে। যেটা বাংলাদেশী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানীর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। ফান্ড উত্তোলন করা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তারপরও আমি বলবো বিনিয়োগকারীরা আসলে আইডিয়া বা প্রোডাক্ট দেখেনা, তারা দেখে আপনাকে।

বিনির্মাণ

আপনি বললেন বিনিয়োগকারীরা “আইডিয়া বা প্রোডাক্ট দেখেনা তারা দেখে আপনাকে”। একথা বলার পিছনে যুক্তি কী?

নুসরাত জাহান

আমি যখন প্রথম শুরু করি  তখন আমার কোম্পানীটি একটা আইডিয়াই ছিলো। সে সময় বিডি ভেঞ্চারকে প্রস্তাব করি আমার বিজনেসে বিনিয়োগের জন্য। আমি তাদেরকে আমার আইডিয়াটা জানাই। তখন তারা আগ্রহী ছিলো না, এবং বিনিয়োগও করেনি কারণ, আমার কোন প্রোটোটাইপ রেডি ছিলো না তখন। আমি একটু হতাশ হই কিন্তু দমে না গিয়ে সিদ্ধান্ত নেই একটা প্রোটোটাইপ রেডি করার। এক বছর পর আমি তাদেরকে আবারো প্রস্তাবনা দেই। তবে এবার আমার প্রোটোটাইপ তৈরি করা ছিলো। এবং তারা আমার সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়। ব্যক্তিগত উদাহরণ দেয়ার কারণ হলো  যে, তারা আমার স্পৃহা দেখেছে। একবছর আগে যে মেয়েটা প্রত্যাখ্যাত হলো প্রোটোটাইপ না থাকায়, সেই মেয়েটি প্রোটোটাইপ নিয়ে একবছর পর আবারো আবেদন করলো। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা আমার এই পদক্ষেপটাকেই মূল্যায়ন করেছে। আমি এমনটি বলছিনা যে আইডিয়া দেখেই না। আইডিয়া বাস্তবায়নযোগ্য কি-না, তার থেকে কোম্পানি টাকা উত্তোলন করতে পারবে কি না, মানুষের কাছে বিক্রি হবে কি না এসব বিষয় বিবেচনা করেই তারা কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার থেকেও বেশি দেখে উদ্যোক্তাকে। উদ্যোক্তার স্পৃহা কেমন ,তার ধৈর্য ধরার মানসিকতা কেমন, মাঝপথে ছেড়ে দিবে কি না- এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজনেসে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জে নিতে হতে হয়। এ সময়ে সে পিছিয়ে পড়বে কী না। একজন বিনিয়োগকারী কিন্তু এসব বিষয় অনেক বেশি দেখে। এই ধারণা থেকেই বলেছি যে আইডিয়ার চেয়ে উদ্যোক্তাকেই বেশি দেখে।

উদ্যোক্তার স্পৃহা কেমন ,তার ধৈর্য ধরার মানসিকতা কেমন, মাঝপথে ছেড়ে দিবে কি না- এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজনেসে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জে নিতে হতে হয়। এ সময়ে সে পিছিয়ে পড়বে কী না। একজন বিনিয়োগকারী কিন্তু এসব বিষয় অনেক বেশি দেখে।

বিনির্মাণ

স্টার্টআপ কোম্পানী প্রতিষ্ঠার কত বছরের ভিতরের ইনভেস্টমেন্ট রেইজ করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?

নুসরাত জাহান

কত বছর না, আমি মনে করি শুরু থেকেই চেষ্টা করা উচিৎ। এমনকি পড়াশুনা চলাকালীন বা আইডিয়াটা যখন মাথায় আসবে তখন থেকেই প্রচেষ্টা চালানো উচিৎ। আপনি যদি বিদেশের কথা চিন্তা করেন,তারা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায়ই আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারে, মূলধন উত্তোলন করতে পারে। ছোটবেলা থেকে শুরু করার কারণে তার বড় হওয়ার সাথে সাথে আইডিয়াটারও পরিপক্বতা আসে। এটা আসলে সময়ের বিষয় না যে কত বছর বা কতদিন পর ফান্ড উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করবো। আপনার যদি ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা থাকে এবং উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী থাকেন, আপনার ভালো একটি আইডিয়া মাথায় থাকে এবং সেটা নিয়ে কাজ করতে উৎসুক থাকেন তখন থেকেই ইনভেস্টমেন্ট পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

বিনির্মাণ

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এঞ্জেল ইনভেস্টরদের অস্তিত্ব কত টুকু?

নুসরাত জাহান

এঞ্জেল ইনভেস্টর থাকার অনেক সুবিধা আছে কিন্তু দুঃখজনক ভাবে বাংলাদেশে এর অস্তিত্ব কম। এখানে বিশ্বস্ততার ইস্যু আছে। আমাদের দেশে এঞ্জেল ইনভেস্টররা স্টার্টআপদের খুব একটা বিশ্বাস করতে পারেন না। এটার অবশ্য অনেক কারণও রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ রিস্ক নিতে অনাগ্রহী। তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা কাজ করে। রিস্ক নিতে ভয় পায়। এজন্য এঞ্জেল ইনভেস্টরদের আমরা ঠিক ভাবে খুঁজে পাই না। বা যারাই বিনিয়োগ করতে চান তারাও মূলধন হারানোর ভয়ে স্টার্টআপ কোম্পানী গুলোতে বিনিয়োগ করতে চান না।

বিনির্মাণ

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানীর বাংলাদেশে উপস্থিতি কেমন?

নুসরাত জাহান

বাংলাদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানী খুব বেশি নেই। হাতে গোণা কয়েকটি সংগঠন কাজ করে যেমন বিডি ভেঞ্চার, বাংলাদেশ ভেঞ্চার, ডি মানি, ফেনক্স ইত্যাদি।

বিনির্মাণ

স্টার্ট আপ কোম্পানীর প্রতি তাদের কতটা সহযোগিতামূলক মনোভাব রয়েছে?

নুসরাত জাহান

এঞ্জেল ইনভেস্টর আর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দু’পক্ষের ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম। কারণ সবাই ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চায়। বাংলাদেশে আসলে এতটা অরক্ষিত অবস্থা যে আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই মোতাবেক কাজ করতে পারবেন না। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানী গুলো বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে বিশ্বস্ততা অনেক বড় ফ্যাক্টর। যদিও আগের চেয়ে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তবুও এখন পর্যন্ত অনুকূল অবস্থায় আসেনি। সময়ের সাথে সাথে এ অবস্থার উন্নতি হবে বলে আমি আশাবাদী।

বিনির্মাণ

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানীর কালচার গড়ে উঠার পিছনে কি কি বিষয় ভূমিকা পালন করতে পারে?

নুসরাত জাহান

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানীর কালচার গড়ে তুলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। যেমন- ক্যাম্পেইন, সচেতনতা মূলক কার্যক্রম,  এবং বেশি বেশি মোটিভেশনাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা। সবগুলো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানী যদি একসাথে একটা প্ল্যাটফর্ম দাড় করায়, যেখান থেকে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এক্টিভেশন প্রোগ্রাম করবে, শিক্ষার্থীদের মোটিভেট করবে,তাহলে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়ে নতুন একটা কালচার তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরাও ব্যবসা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে, কিভাবে ফান্ডিং পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে ধারণা তৈরি হবে একই সাথে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গুলোও তাদের ব্যবসা বড় করতে পারবে।

বিনির্মাণ

আপনি তো কয়েক বছর বিদেশে ছিলেন। সেই হিসেবে বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গুলো সম্পর্কেও আপনার জানার সুযোগ হয়েছে। আবার দেশে আসার পর দেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গুলোর সাথেও কাজ করেছেন। দুই দেশের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গুলোর মাঝে পার্থক্য কি?

নুসরাত জাহান

বাইরের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যেমন, সিলিকন ভ্যালির কথাও যদি চিন্তা করেন, ওরা একটা আইডিয়াতে ইনভেস্ট করেই বসে থাকেনা, তারা এক্সিলেরেট করে, আইডিয়াকে কিভাবে পরিপক্বতার দিকে নেওয়া যায় তার পিছনে সময় ব্যয় করে, শ্রম দেয়, নেটওয়ার্ক বিল্ডিংয়ে অনেক সাহায্য করে। আমাদের দেশে এসব অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায় দুইটার মাঝে অনেক বড় পার্থক্য। এই পার্থক্য দূরীকরণে, সবগুলো ভেঞ্চার ক্যাপিটালের একসাথে কাজ করা উচিৎ। এবং বাইরের কালচার থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টাকে অনুসরণ করা উচিৎ। তারা যদি একটা আইডিয়াকে বড় একটা বিজনেসে রূপান্তরিত করতে পারে তবে আমাদের দেশে কেনো অসম্ভব? আমরা যেহেতু তৃতীয় বিশ্বের দেশ আমাদের প্রচুর সমস্যা রয়েছে। প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান বের করে বিজনেসে নামার দারুণ সুযোগ আমাদের হাতের নাগালে। সেই সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করতে পারে সবার সহযোগিতামূলক মানসিকতাই।

আমরা যেহেতু তৃতীয় বিশ্বের দেশ আমাদের প্রচুর সমস্যা রয়েছে। প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান বের করে বিজনেসে নামার দারুণ সুযোগ আমাদের হাতের নাগালে। সেই সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করতে পারে সবার সহযোগিতামূলক মানসিকতাই।

বিনির্মাণ

স্টার্টআপ গুলোর শুরু থেকেই অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। আপনার চ্যালেঞ্জ গুলো কি ছিলো? এবং সেগুলো কিভাবে অতিক্রম করলেন?

নুসরাত জাহান

প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিলো পরিবার থেকে। খুব ভালো একটা জব করতাম আমি। সেই জব ছেড়ে বিজনেসে নেমেছি। যার ফলে পরিবার কিছুটা অখুশী ছিলো। এখনো যে তারা পুরোপুরি মেনে নিয়েছে ব্যাপারটা এমন নয়। সেই চ্যালেঞ্জটা এখনো সামলে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ এসেছে সমাজ থেকে। কোনো একটা মেয়ে বিজনেস করবে সেটা সমাজের কাছে এখনো অপ্রত্যাশিত। আমার বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ড পাওয়া, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা, বিদেশে পড়াশুনা করা ইত্যাদি এসব ব্যাপার আমার আশেপাশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করছে। তারপরের চ্যালেঞ্জটা মোটামুটি সব স্টার্টআপই ফেইস করে। সেটা হলো ফান্ডিং এর চ্যালেঞ্জ। এমনকি  একবার আমার মনে হয়েছিলো যে বিজনেসটা বন্ধ করে দেই। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত হার মানিনি। তারপর বিডি ভেঞ্চার এগিয়ে আসলো। এছাড়াও একটা আইডিয়া বাস্তবায়ন করার সময় অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। যেমন- কোন বিজনেস মডেলটা কাজে দিবে, কোনটা দিবেনা, প্রোডাক্ট মার্কেটে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে। ব্যবসা করার সময় বলতে গেলে প্রতিটা সময়, প্রতিটা মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়।

বিনির্মাণ

দুই বছর স্টার্ট আপে সময় দিয়ে কি কি বিষয় শিখতে পারলেন?

নুসরাত জাহান

প্রথমত, যা শিখলাম তা হলো নিজেকে পুরোপুরি সৎভাবে ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। পুরোপুরি মনোনিবেশ না করতে পারলে বিজনেস পরিচালনা করা সম্ভব না। দ্বিতীয়ত, ধৈর্য রাখতে হবে। কারণ যে চ্যালেঞ্জ গুলো আসে ধৈর্যের সাথেই সেগুলোর মোকাবেলা করতে হবে। ব্যবসায়ে শুরু করে আমার ধৈর্যের লেভেলটা অনেক বেড়েছে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান বেড়েছে। দুই বছর আগে আমি যখন বিজনেসে নামি তখন আমার তেমন মার্কেট নলেজ ছিলোনা। এখন আমি কিন্তু বলতে পারি যে ফিজওথেরাপি সেন্টার গুলোতে আমার পণ্যের কতটুকু ডিমান্ড। আমি মনে করি যে কোন বিজনেসে নামার আগে মার্কেট রিসার্চটা জরুরী। এর মাধ্যমেই বুঝা যায় আপনার পণ্য মানুষের কাছে কতটুকু সমাদৃত হবে।

বিনির্মাণ

ভবিষ্যৎ নিয়ে কি ভাবছেন?

নুসরাত জাহান

আমার এই ফিজিওট্র্যাকটাকে অনেক বড় লেভেলে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা আছে। আন্তর্জাতিক মার্কেটে প্রবেশ করার স্বপ্ন দেখি। বাংলাদেশে মার্কেট লিডার হওয়ার আশা আছে এবং ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবো।

বিনির্মাণ

উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার কি পরামর্শ থাকবে?

নুসরাত জাহান

অনেকেই মনে করে আমার একটা আইডিয়া আছে, সুতরাং এই আইডিয়া অন্যদেরকে শেয়ার করা উচিৎ না। অন্য কেউ চুরি করে নিবে। এই ট্যাবু থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোন আইডিয়া থাকলে সেটা সিনিয়রদের সাথে শেয়ার করতে হবে, বা বন্ধুরা মিলে আলোচনা করতে হবে। এবং পরবর্তী লেভেলে কিভাবে নেয়া যায় সেটার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে। আরেকটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি, এখনকার তরুণরা খুব মোটিভেশন নিয়ে কোন একটা কাজ শুরু করে। কিন্তু তারা সে মোটিভেশন ধরে রাখতে পারেনা। আমার মনে হয়, তাদের মাঝে স্থিরতার খুব অভাব যা থাকাটা খুব জরূরী। যে কোন কাজ মাঝপথে ছেড়ে দেয়া যাবেনা। এবং সততার সাথে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

কোন আইডিয়া থাকলে সেটা সিনিয়রদের সাথে শেয়ার করতে হবে, বা বন্ধুরা মিলে আলোচনা করতে হবে। এবং পরবর্তী লেভেলে কিভাবে নেয়া যায় সেটার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে। আরেকটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি, এখনকার তরুণরা খুব মোটিভেশন নিয়ে কোন একটা কাজ শুরু করে। কিন্তু তারা সে মোটিভেশন ধরে রাখতে পারেনা।

বিনির্মাণ

বিনির্মাণের পক্ষ হতে আপনাকে ধন্যবাদ।

নুসরাত জাহান

আপনাকেও ধন্যবাদ।

3


১। একটি মানে দাড় করান কেন Startup বা উদ্যোগ নেবেন  ……….

আপনার উদ্যোগটি লাভজনক বা অলাভজনক যাই হোক না কেন এটার আসল ঊদ্দেশ্য হয়া উচিত অন্যের ঊপকার বা সমস্যা নিরসন করা । যা দুনিয়াতে একটি ভাল উধাহরণ রেখে যাবে । মানুষ মনে রাখবে ।

বয়স তিরিশ এর আগে শুরু করুন পরে ভুল শুধরে নিতে পারবেন , ৪০ এর ঘরে জীবন বাজি রাখা কঠিন

* আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে সাধারণ মানুষের লাভ কি ? এর উত্তর পরিষ্কার হওয়া জরুরী ।
* মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি করবে কি ?
* সব কিছু শেষে ভাল জিনিস তাই মানুষ মনে রাখে যা একটা সময় তার উপকার বা মনোযোগ কেড়েছিল ।

২। একটি স্লোগান / মন্ত্র তৈরি করুন ( যেমন নকিয়ার Connecting People )……

সেই মন্ত্র টি যেন মিশন স্টেটমেন্ট এর মত বড় না হয় । যা আপনি বিশ্বাস করবেন । আপনার ক র্মীরাও বিশ্বাস করবে ।
* আপনার উদ্যোগটির উদ্দেশ্যর সাথে মন্ত্রটির মিল থাকতে হবে ।
* মানুষ যেন ২/৩ টি শব্দে আপনাকে বিশ্বাস করে ।
* যত বেশী মানুষ আপনাকে ভরসা করবে আপনার ব্যবসা বাড়তে থাকবে ।

৩। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে চলুন…………

* সবার প্রতি ঊদার থাকুন
* কিন্তু সবাইকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন না
* শুরুতে আপনি মাত্র অল্প কিছু ক্রেতা পাবেন তাদের নিয়ে এগিয়ে চলুন ।
* একজন সোলমেট খুজন যে আপনার মত বা আপনার মত দুরদর্শী । বা কিছুটা পাগলাটে !!!
* ওজনিয়ক , পল এলেন, সের্গেই ব্রিন এরা কাদের সোলমেট মনে পড়ে ?

৪। বাস্তব বাদী বিজনেস মডেল দাড় করান…………

* ঢাকায় ৩ মিলিয়ন শিক্ষিত ও স্মার্ট মানুষ আছে ঠিক
* ব্যাতিক্রম কিছু ভাবুন যা দেশে আগে কেউ শুরু করে নি
* কারন এরই ভিতর অনেকই একই কাজটি করছে ।
* আপনার যতই স্মার্ট প্রোগ্রামার , মারকেটিং এক্সপার্ট থাকুক না কেন, অনেক কঠিন হবে কাজ টি
* চাহিদার নিচের দিক থেকে ভাবুন, তাতে খরচ ও আয়ের অনুপাত আগে থেকে অনুমান করতে পারবেন ।
* ব্যবসা করার জন্য আমাদের দেশ উর্বর ভুমি , কারন সব শ্রেনীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতা মোটামুটি ।

৫। কাজ, ধারনা, ও মাইলফলক ঠিক করে নিন । ………..

প্রথম দিকের সব স্টার্টআপ কে ৭ টি মাইলফলক ঠিক করা উচিত
* আপনার কনসেপ্ট / আইডিয়া কে প্রমান করুন
* আপনার ডিজাইন দাড় করান
* প্রটোটাইপ দাড় করান
* প্রথমে নিজের পুজি নিয়ে এগিয়ে চলূন , পরে অপরের পুজি নেবেন ব্যবসা শক্ত করার জন্য
* নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বেটা ভার্সন সবাইকে দেখান
* তারপর আসল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অল্প পরিমাণে বিক্রি করবেন ।
* সেলস শুরু হয়ে গেলে কাস্টমার কি চায় ট্র্যাক করা শুরু করুন, তা থেকেই পরের ধাপ বেরিয়ে আসবে ।
* মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করলে আপনিও ফল পাবেন ।

৬ আপনার গল্প টি শেয়ার করুন কেন আপনি এটা করছেন …………
* প্রচার পর্বের শুরু তে আপনার গল্প টী শুনে যাতে মানুষ আপনাকে মনে রাখে
* আপনার উদ্যোগ টি যদি আলাদা হয় , মানুষ চেস্টা করবে মনে রাখতে
* কমম্পিটিটর দাঁড়িয়ে গেলেও ভয় পাবেন না
* আপনার প্রচেস্টা কতটা হৃদয়গ্রাহী সেটা মানুষকে বোঝান ।
৭ বিনিয়োগের জন্য রাস্তা খোলা রাখুন , যা প্রেজেন্টেশন এর লক্ষ্য
* সেলস, মার্কেটিং , ব্র্যান্ডিং, ফান্ড রাইজিং, কাস্টমার কেয়ার সব দিকে নজর রাখতে হবে
* ১০/২০/৩০ রুল যা আপনার সব প্রেজেন্টটেশন কে করবে অর্থবহ
* ১০ টি শ্লাইড, ২০ মিনিট, ৩০ ফন্ট সাইজ যা ম্যাজিকের মত কাজ করবে

৮ সেলস অনুযায়ী খরচ করুন ও টিম বিল্ডিং করুন। ………

* নতুন কিছু যোগ করতে গিয়ে সব পুঁজি বিনিয়োগ করবেন না
* যা সেল আসবে তার থেকে খরচ করুন ।
* আপনার সব টিম মেম্বার দক্ষ থাকলেও সেলস ডাটার দিকে পক্ষ নিন
* সেলস সবকিছু ফিক্সড করতে পারে ,
* সেলস যদি নাই থাকে তবে হেভি প্রোগ্রামার ও কাস্টমার কেয়ার কোন কাজে আসবে না
* বুঝে শুনে চলতি বিনিয়োগ করুন ।

৯ ব্যবসার নানা ইনোভেসন এ বিনিয়োগের চিন্তা করুন …….

* বিনিয়োগের সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না
* হয়ত আপনি পাবলিশিং করছেন কিন্তু দেখা গেল ই বুক এর বাজার বেশি
* ফেরত আসার বা রিস্টার্ট করার ঊপায় রাখুন ।
* ব্যাক্তিগত নেটওঅর্ক তৈরি করুন

১০ ওপরের ভাবনায় নিরুৎসাহিত হবেন না ……

* কারন তারা আপনার মত দূরদর্শী নাও হতে পারে
* আপনি কি করবেন না নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নেই ।
* আপনি এটা পারবেন না এর আসল মানে ওরা কেউ হলে পারত না ।
* আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ কেউ হলে তার সাবধান বানী মাথায় নিন ।

সব কথার শেষ কথা ব্যবসা শুধু আপনার নিজের জন্য ভাবলে সেটার স্থায়িত্ত বেশি দিন হয় না , কারন নিয়তি পেব্যাক করতে শুরু করে , মনোপলির চিন্তা না করে ইনোভেশন এ নজর দিন ।

4
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর উত্তেজনাপূর্ণ বিশ্ব মধ্যে একটি চেহারা



প্রায় প্রতিটি সফল কোম্পানির নিজস্ব প্রতিষ্ঠিত পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। সম্ভবত এটি প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যানফোর্ডের বাইরে স্নাতক হওয়ার লজ্জায় ডুবে আছেন, তাদের পিতামাতার গ্যারেজে টেন্ডারিং করে দুইজন সেরা বন্ধু বা ভবিষ্যতে সিইও নিখুঁতভাবে পণ্য বিক্রয় করে ডর টু ডোর। আমরা সব আশ্চর্য, কিভাবে তারা এটি করা? অনেক সাফল্য আবেগ, নতুনত্ব এবং কেবল সঠিক সময়ে ডান জায়গায় হচ্ছে যাও দায়ী করা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা গল্পের অংশ যা প্রায়ই বলা হয় না যে ভেনচারের রাজত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবসায়ের মধ্যে ইক্যুইটি, অথবা আংশিক মালিকানা বিনিময়ে প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ প্রদান করা হয়। ভেনচারের রাজধানী একটি কোম্পানীর ক্ষমতা এবং দিক পরিবর্তন করে বেপরোয়াভাবে পরিবর্তন করে। কিছু শিল্পে, এটি একটি পরিপক্ব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ভাল ধারণা বাঁক জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান পরিণত হয়েছে। প্রারম্ভকালীন মূলধন বৃদ্ধির এই উচ্চমূল্যের প্রজেক্ট ভেঞ্চার পুঁজিপতিদের জন্য বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভেন্টর ক্যাপিটাল ফমারা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসার বিস্তৃত অ্যারে বিনিয়োগ করে, তাই যদি কিছু কোম্পানি একটি মাপকাঠি হয়, তাহলে একক সফল বিনিয়োগে ফেরার হার উচ্চতর ফরমটি কালো অবস্থায় রাখতে পারে।

কে আছে ভেন্টর পুঁজিপতিরা?
ভেনচার মূলধন (ভিসি) অনেক উৎস থেকে আসতে পারে, তবে দুটি সর্বাধিক সাধারণ উৎস হচ্ছে দেবদূত বিনিয়োগকারী (গভীর পকেটে থাকা ব্যক্তি) এবং ভেনচার ক্যাপিটাল সংস্থাগুলি (সংস্থাগুলি যারা উচ্চ ঝুঁকির তহবিল পরিচালনা করে ব্যক্তিগত ইকুইটি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ) ভিসি ওয়ার্ল্ডের প্রধান খেলোয়াড়রা অবশ্যই, রাজধানী খুঁজার উদ্যোক্তাদের এবং ভ্যালেন্টাইপ পুঁজিপতিরা ইকুইটি বিনিময়ের জন্য রাজস্ব প্রদান করে। দুইটি অতিরিক্ত কী খেলোয়াড় হল ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী, যারা বিনিয়োগের উপর উচ্চ ফেরত পাওয়ার জন্য ভেনচার মূলধন তহবিলে টাকা চাঁদা দিচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীরা যারা পুঁজিবাজারে খোঁজা, তহবিল এবং পরামর্শদাতা সংস্থার উপর নির্ভর করে থাকে। সময় সঠিক হলে, একটি প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) আন্ডাররাইট করার জন্য একটি বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রয়োজন হবে।

Angel বিনিয়োগকারীদের সাধারণত প্রারম্ভে অভিজ্ঞতা আছে এবং উদ্যোক্তাদের সাথে পরামর্শ এবং কাজ করতে আগ্রহী। উদাহরণস্বরূপ, সিরিয়াল উদ্যোক্তা স্যাম অল্টমান বর্তমানে Y Combinator, একটি কিংবদন্তি সিলিকন ভ্যালি প্রারম্ভে প্রজন্মের সভাপতি হিসাবে কাজ করে যা তিন মাসের জন্য, বাসস্থানের সাথে মিলিত শাখা এবং অল্পবয়স্ক নগদ প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কোম্পানী (বর্তমান চুক্তিটি কোম্পানির 7 শতাংশ শেয়ারের জন্য $ 120,000।)

ভেন্টর ক্যাপিটাল ফান্ডগুলি বড় প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা বিনিয়োগ করা হয় যা তাদের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্রপূর্ণ করতে চায় এবং তাদের পোর্টফোলিওতে উচ্চ ঝুঁকি / উচ্চ-সম্ভাব্য বিনিয়োগ যোগ করে। পেনশন ফান্ড, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ্যাত্ব, বীমা কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভেনচার মূলধন তহবিলের মধ্যে তাদের সম্পদ কিছু অংশ রাখে এবং একটি উচ্চ ঝুঁকি প্রফাইল সঙ্গে ডিল যাও বিনিময়ে ঐতিহাসিকভাবে চরিত্রগত, বড় আয় চাইতে ইনকর্পোরেটেড অনুযায়ী, 1999 থেকে ২014 সালের “15 বছরের গড় বার্ষিক রিটার্ন ছিল ২২.6 শতাংশ।” বিনিয়োগকারীদের তহবিলের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয় না বরং ভেনচারের পুঁজি তহবিল পরিচালকদের নমনীয়তা প্রদান করে। কোনো নির্দিষ্ট প্রারম্ভের কারণে প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা খুব কমই একটি ভেনচার ক্যাপিটাল ফান্ড বেছে নেয়। পরিবর্তে, তারা ভিসি ফার্ম এর অতীত পারফরম্যান্স উপর ফোকাস।

বীজ-স্তর ফান্ডিং
একটি সংস্থার প্রথম স্তর যা তহবিল সংগ্রহ করতে পারে বলে বলা হয় বীজতলা। এটি একটি সময় যখন কোম্পানি এখনও বেশিরভাগই একটি ধারণা যা একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, গবেষণা এবং উন্নয়ন বা একটি ছোট দল নিয়োগের মত মূলসূত্র জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন প্রচলিত উত্স থেকে তহবিল বাড়াতে বীজপথ ব্যবসার জন্য এটি খুবই কঠিন।

সুদের হারের কারণে ব্যাংকগুলিকে ঋণের স্বার্থে সীমা নির্ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের জন্য, ব্যাংকগুলি ঋণ অর্থায়নগুলির বিরুদ্ধে কঠিন সম্পদের সুরক্ষার চেষ্টা করতে পারে। যেহেতু অনেক নতুন উদ্যোক্তা সংস্থা প্রযুক্তি ভিত্তিক, তাদের কাছে এই ধরনের মূলধন বা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নেই ভেন্ডর মূলধন বন্ধুরা, পরিবার এবং প্রতিষ্ঠাতা নিজেদের থেকে তহবিল প্রথম তরঙ্গের মধ্যে আঠা প্রদান করে, আরো প্রথাগত, নিম্ন মূল্যে মূলধন উত্থানের ফর্ম।

ট্রেড-অফ: ফায়ারের সাথে খেলা করা
ভেনচার পুঁজিবাদীরা, সহজাত ঝুঁকিপূর্ণ প্রেমিক হিসাবে, সম্ভাব্য ব্যবসার অস্থিতিশীলতা থেকে সৃজনশীলভাবে ট্রেড করা বেছে নেয়। কৌশলগত ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তগুলির সরাসরি মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা দাবি করে তারা তরুণ সংস্থায় বিনিয়োগের উচ্চ ঝুঁকি নিরূপণ করে। একটি ভিসি ফার্ম পরামর্শদাতা, মানব সম্পদ এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা (উদাহরণস্বরূপ, একটি অফিস স্পেসে দল স্থাপন) সহ একটি প্রারম্ভে অনেক পরিষেবা প্রদান করতে পারে।

বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য, ভার্চুয়াল পুঁজিপতিদের নিজেদের মূলধন প্রয়োজন। তারা এই মূলধন কিছু প্রাইভেট ইকুইটি সংস্থাগুলি থেকে পেতে। প্রাইভেট ইকুইটি সংস্থাগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলার জন্য তাদেরকে অবশ্যই স্মার্ট সিদ্ধান্তের একটি ইতিহাস দেখানো উচিত যা বিনিয়োগের উপর একটি উচ্চ ফেরত পাওয়া যায়। অবশ্যই, ভেনচার ক্যাপিটাল ফোরাম তাদের নিজস্ব ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য বিনিয়োগে উচ্চতর ফেরত চায়।

চুক্তি
একটি স্টার্টআপের সাথে চুক্তি করার সময়, ভার্চুয়াল ক্যাপিটাল ফরমগুলি সমস্ত সম্ভাবনার আবরণ খুঁজছেন। যদি প্রারম্ভে একটি মহাকাব্য ব্যর্থতা, ভিসি কলেজ সতর্ক সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন অন্যদিকে, প্রারম্ভে একটি রানওয়ে সফলতা হলে, ভিসার দৃঢ় অব্যাহত অংশগ্রহণের বিকল্পটি বজায় রাখতে হবে।

ব্যর্থতা রক্ষার জন্য, ভিসি করপোরেশনগুলি পছন্দের ইকুইটি মালিকানা গ্রহণ করে। এই চুক্তির আকারে নেতিবাচক সুরক্ষা প্রদান করে যা সাধারণ স্টক হোল্ডারদের আগে প্রথম অধিকার মঞ্জুর করে, যখন ভিসি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ফেরত হয়। অন্যতম খারাপ দৃষ্টিকোণ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বিরোধী দুর্নীতির প্রবিধান, নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার এবং আইপিও এর সময়কালে একটি কথা। ভিসি সংস্থাগুলি এবং ব্যক্তিরা প্রায়শই সহযোগিতা বাছাই, নেতৃত্ব এবং অনুগামী বিনিয়োগকারীদের গঠন করে। এটি আরও ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

কি যদি শুরু হয় সফলতা? ভিসি এছাড়াও একটি সেট মূল্য এ আরও অর্থ যোগ এবং তার মালিকানা অংশীদার বৃদ্ধি বিকল্পের আলোচনা করে সফলতার জন্য প্রস্তুত। অন্য কথায়, ভি.সি. ফার্ম বাজারের মূল্য পরিশোধ না করেও উদ্যোগে তার অংশীদারতা বৃদ্ধি করতে পারে। ভিসি রুট মূলধনের একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ফর্ম হিসাবে পরিচিত হয়, যেহেতু তাদের এইরকম শক্তিশালী বিচলিত বিধান রয়েছে।

টাকা কোথায় যায়?
তরুণ কোম্পানি তাদের ধারণাগুলি চালানোর জন্য অর্থ জোগাড় করতে হবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ অনুযায়ী, উদ্যোগের পুঁজিবাদী বিনিয়োগের 80 শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগের (বিনিয়োগ, বিপণন ও বিক্রয়) এবং ব্যালেন্স শীট (স্থায়ী সম্পদের এবং কর্মসংস্থানমূলক রাজস্ব প্রদান) -কে ব্যবসা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে যায়। )। “

কীভাবে ভার্চুয়াল ক্যাপিটাল ফোর্সগুলি তাদের শুরুতে বিনিয়োগ করে? প্রথম এবং সর্বাগ্রে, ভিসিগুলি উচ্চ-বৃদ্ধি শিল্পের জন্য দেখায়। উচ্চ প্রবৃদ্ধির বাজারগুলি আকর্ষণীয় কারণ তারা সহজে ছাড়ের সুযোগের জন্য অনুমতি দেয়, অর্থাৎ কোম্পানি বিক্রি করার উপায়গুলি। উচ্চ-প্রবৃদ্ধি সংস্থাগুলির সন্ধানে এবং তাদের বাজারে আনতে এটি একটি বিনিয়োগ ব্যাংকারের কাজ। যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধি কোম্পানীর অনেকগুলি বিশ্লেষণ ঘটে, প্রত্যাশিত আইপিওগুলির ফলে বড় মূল্যনির্ধারণ হয় এর মানে বিনিয়োগ ব্যাংকারের জন্য আরও বড় কমিশন এবং ভেনচার পুঁজিপতিদের জন্য দ্রুত পরিবর্তন।

ভিসি ওয়ার্ল্ড ইন, ব্যক্তিগত স্পর্শের একটি ধারনা আছে। যদি ভিসি একজন অবসরপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা বা সফল ব্যবসায়ী হন, তবে সেগুলি সম্ভবত এমন শিল্পের দিকে নজর রাখবে যা তাদের কাছে অভিজ্ঞতা আছে অথবা অন্যান্য কারণের জন্য কোম্পানিকে সাহায্য করার চেষ্টা করে যা কঠোরভাবে আর্থিক নয়। যেহেতু একই প্রবৃদ্ধি এবং কর্মক্ষমতা প্রোফাইলগুলির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে কোম্পানীর পার্থক্য করা কঠিন, তাই পরিচালিত দলটি বেশিরভাগ সময় একটি চুক্তি প্রস্তুতকারক, মূলত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। (আরো জানতে, দেখুন, কীভাবে পুঁজিপতিরা বিনিয়োগের বিকল্পগুলি তৈরি করে।)

নীচের লাইন
উদ্যোক্তা পুঁজিবাদীরা তরুণ কোম্পানিগুলির প্রচলিত প্রচলিত ঋণদাতাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করার মতো কঠিন সময় কাটায় যেমন ব্যাংকগুলি। ভিসি শিল্পে চারটি প্রধান খেলোয়াড় রয়েছে: মূলধন চাইবার প্রারম্ভিক, ভিসিগুলি বিশ্লেষণ করে, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাবর্তনের দাবি এবং আইপিও কমিশনের জন্য আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা।

Source: https://financial-lib.com

5
নতুন উদ্যোক্তারা ব্যাংক লোন পাবেন যেভাবে!

একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা এবং ইন্সুরেন্সের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যই হলো উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণা বিদ্যমান রয়েছে যে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তার পরিবর্তে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করে। বিষয়টি ঢালাওভাবে কিংবা একতরফাভাবে বলা সমিচীন নয়।



উদ্যোক্তা হিসেবে শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য যেমন নিয়মনীতি অনুসরন করতে হয় তেমনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পদ্ধতিগতভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। অনেক সময় উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান এবং ব্যাংকের নিয়মকানুন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনে অহেতুক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি দেশের অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্পোদ্যোক্তা বিশেষ করে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ ও অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য এসএমই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু করেছে। অনেক ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক সেল/ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে।

ব্যাংক (Bank)

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবাজারে এসএমই খাতে অর্থায়নে যে সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএমই ব্যাংকিং শুরু করেছে তাদের তালিকা নিম্নরূপঃ (১) ব্র্যাক ব্যাংক (২) বেসিক ব্যাংক (৩) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (৪) ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (৫) প্রাইম ব্যাংক লিঃ (৬) এবি ব্যাংক (৭) মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (৮) প্রিমিয়ার ব্যাংক (৯) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (১০) সিটি ব্যাংক লিমিটেড (১১) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ (১২) স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক (১৩) ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ (১৪) ব্যাংক এশিয়া (১৫) ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ (১৬) সোনালী ব্যাংক লিঃ (১৭) জনতা ব্যাংক লিঃ (১৮) অগ্রনী ব্যাংক লিঃ (১৯) পূবালী ব্যাংক লিঃ (২০) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রভৃতি।

ব্যাংক একাউন্ট খোলা (Opening Bank Account)

ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার পছন্দ মতো ব্যাংক হতে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে। বিভিন্ন ব্যাংকে এই কাগজপত্রের চাহিদা ভিন্ন রকমের হয়। এছাড়া নিয়মের কিছু কিছু ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরমে ব্যাংক একাউন্ট করার দরখাস্ত।

২. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৩. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর সত্যায়িত কপি।

৪. লিমিটেড বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলে বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর রেজুলেশন কপি অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্তসহ কে কে ব্যাংক একাউন্ট অপারেট করবেন তাদের নাম উল্লেখসহ গৃহীত সিদ্ধান্তের কপি।

৫. সার্টিফাইড Join Stock থেকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Certificate of Incorporation)।

৬. মেম্বার বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সমিতি হতে নেয়া সদস্য সার্টিফিকেট।

৭. ঐ ব্যাংকের অন্য কোন একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক আপনার ছবি ও আবেদন পত্রে স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে এবং তাকে সনাক্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ

(ক) প্রতিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা/ ব্যবসায়ীদের ঋণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রকল্প দলিল তৈরীর ফরমেট রয়েছে। আপনি যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে ইচ্ছুক সে ব্যাংকের ফরমেট অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত পূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজ ও দলিলপত্রাদিসমেত প্রকল্প ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।

(খ) একটি উপযুক্ত প্রোজেক্ট প্রোফাইল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে আপনি বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং কনসালটেন্সী ফার্মের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারেন।

(গ) যখন কোন ব্যবসায়ী যৌক্তিকভাবে মনে করেন ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য তার ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন তখন তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বরাবরে প্রয়োজনীয় বিবরণ সম্বলিত দরখান্ত পেশ করবেন।

 

এতে নিম্নলিখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবেঃ

১. ব্যাংকের নিজস্ব ফরম সংগ্রহকরন এবং তা যথাযথভাবে পূরন।

২. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।

৩. ব্যবসায়ের টিন নম্বর।

৪. সম্পত্তির বর্তমান মূল্যের সনদপত্র (যেখানে শিল্পটি বিদ্যমান/ প্রতিষ্ঠা করা হবে)।

৫. সম্পত্তি বন্ধক নেয়া হলে তার বৈধ চুক্তিনামা (যেখানে প্রতিষ্ঠান রয়েছে বা প্রতিষ্ঠা করা হবে)।

৬. ব্যাংকের হিসাব নাম্বার এবং জামানত স্থিতি।

৭. পৌরসভার বাসিন্দা হলে কমিশনারের সনদ। স্থানীয় পর্যায়ের হলে চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ।

৮. লিমিটেড কোম্পানি হলে মেমেরেন্ডাম এবং আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশনের কপি। অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হলে অংশীদারী চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি।

৯. প্রতিষ্ঠান চালু থাকা অবস্থায় ঋণ গ্রহনে ইচ্ছুক হলে ব্যবসার ১ বছরের লাভ ক্ষতির হিসাব বিবরনী।

১০. প্রতি ব্যাংকের ফর্মে উল্লেখযোগ্য একটি দিক রয়েছে যাকে লেটার অব গেরান্টি বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে দুইজন যোগ্য গেরান্টারের সনদ প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হয়।

১১. প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ করে থাকলে তার হিসাবের একটি হালনাগাদ ও যথাযথ বিবরন থাকতে হবে।

১২. এসএমই খাতে কতিপয় ব্যাংক কোলেটারেল ফ্রি (জামানতবিহীন) লোন চালু করেছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারী করেছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের এডভাইজারী সার্ভিস সেন্টারে এ বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।

১৩. কিছু কিছু ব্যাংকে বর্ণিত বিষয়াদির বহির্ভূত দলিলপত্রাদি প্রয়োজন হতে পারে।

 

এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড (BBGd)

ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু সম্ভাবনাময় শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে শিল্প উদ্যোক্তাদের নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যান্যারশীপ ফান্ড ( ইইএফ) এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সম্প্রতি কৃষিভিত্তিক ও খ্যদ্য প্রাক্রিয়াজাতকরন প্রকল্পে ইইএফ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসমস্ত প্রকল্পের অগ্রাধিকার খাতসমূহ উল্লেখ করা হলোঃ

১. কৃষিঃ

(ক) হাইব্রীড বীজ উৎপাদন (ধান, ভূট্রা, সব্জী ও তরমুজ)

(খ) বাণিজ্যিকভাবে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে আলু বীজ উৎপাদন

(গ) বাণিজ্যিকভাবে ফুল, অর্কিড চাষ (রপ্তানি বাজারের জন্য)

(ঘ) বাণিজ্যিকভাবে সরু/ সুগুন্ধ চাল (রপ্তানি বাজারের জন্য এবং প্রকৃত রপ্তানিকারক যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে)

(ঙ) মাশরুম চাষ প্রকল্প

২. মৎস্যঃ

মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরনভিত্তিক শিল্পঃ

(ক) IQF Found স্থাপন (Individual Quick Freezing/Fish Processing)

(খ) মূল্য সংযোজিত মৎসজাত খাদ্য উৎপাদন ( Value Added Fish Product Development and Marketing)

(গ) আধুনিক পদ্ধতিতে শুটকীমাছ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরন ও বাজারজাতকরন (Dehydrated Fish Plant)

মৎস্য চাষ ও হ্যাচারীঃ বাণিজ্যিকভাবে high value মাছের খামার ও হ্যাচারী স্থাপন।

খাদ্য উৎপাদনভিত্তিক শিল্পঃ মৎস ও পশুজাত গুনগত মানসম্পন্ন (Balance feed) খাদ্য উৎপাদনভিত্তিক শিল্প।

৩. পশুসম্পদঃ

পশুজাত খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরনভিত্তিক শিল্প স্থাপনঃ

(ক) দুধ, ডিম প্রক্রিয়াজাতকরন প্ল্যান্ট

(খ) মাংস প্রক্রিয়াজাতকরন প্ল্যান্ট (আধুনিক কসাইখানাসহ)

স্বাস্থ্য রক্ষা ও ব্যবস্থাপনাভিত্তিক শিল্প স্থাপনঃ গবাদি পশু/ হাঁস-মুরগীর রোগ নির্ণয়/ চিকিৎসার জন্য ল্যাবরেটরী ও হাসপাতাল স্থাপন।

পোল্ট্রি উৎপাদনভিত্তিক শিল্পঃ গ্রেট-গ্র্যান্ট প্যারেন্ট ও প্যারেন্ট স্টক খামার। সুদ নেই। প্রকল্পের অর্জিত লাভ-লোকসান উদ্যোক্তার এবং ইইএফ এর মূলধনের আনুপাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বন্টিত হবে। মোট প্রকল্প ব্যয় সর্বনিম্ন ৫০.০০ লক্ষ টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০.০০ কোটি টাকা হতে পারে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যান্যারশীপ ফান্ড ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা-১০০০ ফোনঃ ৭১২৬২৮০-৯৫, ৭১২৬১০১-২০ ওয়েবসাইটঃ www.bangladesh-bank.org

স্মল এন্টারপ্রাইজ ফান্ড:


(ক) বিভিন্ন ব্যাংকে শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে বেশ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। ক্ষুদ্র শিল্পকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। আলোচ্য তহবিলের আওতায় ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারা স্পল্প সুদে এবং অপেক্ষাকৃত সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ পায়। এটি এসইএফ ফান্ড নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের এসইএফ ঋণ সহায়তা প্রদান করে না। নিম্নলিখিত ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুনির্দিষ্টভাবে এ ঋণ প্রদান করা হয়ঃ (১) ওয়ান ব্যাংক (২) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (৩) প্রাইম ব্যাংক লিঃ (৪) ঢাকা ব্যাংক (৫) এনসিসি ব্যাংক (৬) উত্তরা ব্যাংক (৭) মাইডাস (৮) আইডিএলসি (৯) পিপলস্ লিজিং (১০) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং (১১) প্রিমিয়ার লিজিং। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা লাভের জন্য উল্লেখিত ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিসমূহের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

ইন্স্যুরেন্স (Insurance)

একটি শিল্প কারখানায় দুই ধরনের ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহণ করতে হয়। মূল কারখানা, বিল্ডিং, মেশিন, কাঁচামালের জন্য যে কোন মালিককে ফায়ার ও ফ্লাড (Fire and Flood ) পলিসি গ্রহণ করতে হয়। বিপদকালীন সময় এই Insurance Policy একটি শিল্প কারখানাকে রক্ষা করতে পারে। আর কারখানা চালু হওয়ার পর কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানির জন্য মেশিন পলিসি করতে হয়। আপনি পছন্দসই যে কোন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে বেছে নিতে পারে।

রেফারেন্সঃ ড. নূরুল কাদির ও অন্যান্য (২০০৯) এসএমই বিজনেস ম্যানুয়াল, ১ম এডিশন., ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন।


6
Investment Process / মিউচুয়াল ফান্ড কি?
« on: January 09, 2019, 04:57:30 PM »
মিউচুয়াল ফান্ড কি?

অর্থ সঞ্চয়ের নানান উপায় আমরা জানি। সেভিংস অ্যাকাউন্ট ( Savings Bank Account), ফিক্সড ডিপোসিট ( Fixed Deposit ), রেকারিং ডিপোসিট (Recurring Deposit) এই সব পথেই তো আমরা টাকা জমিয়ে থাকি। কিন্তু যদি আমরা একটু অন্যভাবে টাকা সঞ্চয় করতে চাই বা বাড়াতে চাই, তাহলে কিন্তু নিঃসন্দেহে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ( Investment in a Mutual Fund ) করা উচিত। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুবই সোজা।


এর সঙ্গে শেয়ার বাজারের (Stock Market) যোগ আছে। ধরুন আপনি একটি নির্দিষ্ট কোম্পানীকে টাকা দিলেন। এটা ‘ইউনিট’ কেনা নামে পরিচিত। এইরকম আরও অনেকে ধরুন টাকা দিলেন। এই কোম্পানী এবার টাকাটা খাটাবে। এবং যে টাকাটা আসবে সেটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে এবং আপনি সেই টাকাটাই পাবেন সেটার বর্তমান বাজার মূল্য আছে।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কোনো বড় কোম্পানীর মারফতে যখন শেয়ার বাজারে খাটতে থাকে, আর তার থেকে যে টাকা পাওয়া যায়, এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিটাই হল মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম। অর্থাৎ আপনি শেয়ার বাজার, স্টক মার্কেট এইসব সম্বন্ধে বিশেষ কিছু না জানলেও নির্দিষ্ট কোম্পানীর সাহায্যে টাকা খাটিয়ে বেশি রিটার্ন পেয়ে গেলেন। আর আমাদের মনে রাখতে হবে যে সব মিউচাল ফান্ড নথিভুক্ত হয় SEBI* র কাছে। মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করে থাকে AMC বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী। আর এই AMC’কে অবশ্যই তথ্য নথিভুক্ত করাতে হয় SEBI’র কাছে। যদিও কোম্পানীগুলোর প্ল্যান আলাদা আলাদা হয়, তাও সবচেয়ে কম ১০০০টাকা মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য রাখতেই হয়।

*SEBI: Securities and Exchange Board of India

7
Newspaper / Start-ups emerging: Venture capital still shy
« on: June 03, 2018, 03:57:17 PM »

Wikipedia describes venture capital as a type of private equity, a form of financing that is provided by firms or funds to small, early-stage and emerging firms that are deemed to have high growth potential, or which have demonstrated high growth. Although new in Bangladesh, it is expanding quickly after getting the regulatory framework as 'Alternative Investment' (AI). With it, the startup ecosystem of Bangladesh is getting a shape. A number of vibrant startups such as chaldal, pathao, sheba, hungry naki, doctorola, etc., have emerged.

2017 was a great year for the startup ecosystem of Bangladesh. Some notable investments came through Pathao, Sheba.xyz, Sindabad, Kiksha, Doctorola, etc. The government is also developing different infrastructures, providing support and creating awareness. Bangladesh continues its momentum of being one of the most vibrant landscapes for startups with the expansion of mobile and internet. Pathao received US$ 2.0 million from Gojeck, a ride-sharing company of Indonesia. One of the e-commerce companies received US$ 5.0 million dollars from a private equity firm. Doctorola received Tk 20 million. Sheba received an undisclosed amount from abroad.

Four companies were registered as alternative investment fund managers which made the total number of AI fund managers to 10. New funds are waiting to be registered with the Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC) and launched in the market. The overall funding remained slow in 2017. The industry has seen an exit of a homegrown venture capitalist (EON Food) from investment. Promoter of EON Food purchased share from venture capitalist (VC), BD Venture Ltd. The government allowed tax exemption on the fund in the Finance Bill.

Venture capital is attracting attention of the policymakers. BUILD, a think-tank, arranged a policy dialogue where it presented a policy paper to the Bangladesh Bank on issues to be resolved to create conducive environment for venture capital. A roundtable discussion was held at Digital World on venture capital ecosystem of Bangladesh where Aminul Islam, chairman of Bangladesh Investment Development Authority (BIDA), and Abul Kalam Azad, coordinator, Sustainable Development Goals (SDGs) were present. The Venture Capital and Private Equity Association (VCPEAB) organised a roundtable discussion on venture capital where Abdul Mannan MP, state minister for finance and planning, the Chief Economist of Bangladesh Bank and Member, National Board of Revenue (NBR) were present.

MAJOR HURDLES OF 2017: The main challenge of 2017 was getting investors for the VC funds. Financial institutions, especially banks, have sufficient liquidity but they are reluctant to invest in these funds as it is perceived as a risky investment.  Both institutions and individual investors are in 'testing the water' phase instead of putting their money in any VC fund.  The number of potential and equally serious startups is also slim; investment is not as easy to get as it needs to be. The ecosystem is at its nascent stage. There is a lack of mentors, 'Angel investors' (angel investors invest in small startups or entrepreneurs. Often, angel investors are among an entrepreneur's family and friends and early stage investors to take the startups to the next level. GrameenPhone Accelerator programme has graduated 11 startups in two batches. But a couple of locally developed incubators and accelerator programmes is needed to have a mature ecosystem.

EXPECTATION FOR 2018: The government has given emphasis on creating Digital Bangladesh. It has an ambitious target of earning US$ 5.0 billion export by the year 2021. To achieve that, finance is to be ensured for the startups to flourish and grow.  Venture capital is the most suitable form of financing for start-ups. A few changes in policy should be made to create a conducive environment. Mass awareness has to be created among investors and entrepreneurs regarding venture capital. The government needs to give fiscal support to buy software from local companies. Internet has to be cheaper and made available across the country.

CHALLENGES OF 2018: There is a pattern in startup hubs in mature economies. Academia, VC and entrepreneur collaborate together to make things happen. Universities are knowledge centres; they do research on new aspects which entrepreneurs turn into commercial ventures and VCs come forward to finance. In our country, this collaboration is yet to be developed. Many young entrepreneurs are starting ventures without understanding what they want to do. They seldom do basic homework before launching a business. They sometime copy successful enterprises without calculating demand and supply and competition prevailing in the market. They may fail due to poor planning resulting in waste of money, time and energy.

Start-ups have now become a craze. The government is also trying to do many things which the private sector can and should do. This creates distortion in the market. The government should concentrate on policy support and create infrastructure. Data is scarce in Bangladesh. The government can provide quality and relevant data to entrepreneurs.

2018 is year for general election.  This is always a chaotic time. It affects business. Startups will not be safe either. Venture capitalists will also have to bear the heat. Naturally, investors will be cautious in investing. Their portfolio companies may face loss. Fund raising will not be easy as it requires peace of mind. However, IT-related business can avoid disruption as an entrepreneur can accomplish his/her job quietly from home. Many software developers serve international market; local disruption will affect them very little. Normally, start-ups struggle to survive. They don't have fallback cushion. Prolonged disruption can put a dent on many startups severely and even force them to close their business operation.  A peaceful election and stable political environment will enhance confidence of investors.

Hi-tech parks should be set up in different regions. Startups can use these facilities and benefit from the state-of-the-art technology.

The writer is the Managing Director of BD Venture Ltd and General Secretary, Venture Capital & Private Equity Association of Bangladesh.

shawkat_h@yahoo.com


Source:https://thefinancialexpress.com.bd/views/views/start-ups-emerging-venture-capital-still-shy-1517848223

8
Master Limited Partnerships vs. Limited Partnerships By Dan Moskowitz

Generally, a partnership is a business that is owned by two or more individuals. In all forms of partnerships, each partner is required to contribute resources such as property, money, skill or labor in exchange for sharing in the profits and losses of the business.

For limited partnerships and master limited partnerships, the simplest way to explain the difference between the two business structures is that the latter is publicly traded while offering the tax benefits of a limited partnership.

What Is a Limited Partnership?
A limited partnership features at least one general partner and at least one limited partner. The general partner acts as the owner and is responsible for day-to-day operations. They are also personally liable for the business’s debts. In other words, if the business becomes over-leveraged and can’t meet its debt obligations, then the general partner might be forced to sell personal assets.

Meanwhile, a limited partner only invests money in the business. They have no say in day-to-day operations, and are not personally liable for the business’s debts. A limited partner is also not susceptible to litigation. The only potential loss relates to the investment in the partnership. However, if a limited partner begins to take an active role in the business, that partner can become personally liable to both debt and litigation.

Since a limited partner is not active in the day-to-day operations of the business, that partner does not have to pay a self-employment tax. It is not considered earned income. In a limited partnership, the limited partners are essentially trading their role in day-to-day operations for not having to worry about being liable for the business’s debts or litigation.

What Is a Master Limited Partnership?
A master limited partnership (MLP) is a type of business venture that exists in the form of a publicly-traded limited partnership. With a master limited partnership, limited partners still get the tax advantage and they are not liable, but these advantages are now combined with liquidity since MLPs are traded like equities.

An MLP must generate 90 percent of its revenue from natural resources. This can pertain to energy pipelines, energy storage, commodities, or real estate. The quarterly distributions to limited partners stem from cash flow. This is a positive because cash flow is seen as steady.

For example, most MLPs have locked into long-term contracts and have hedged prices. Historically, this has led to lower volatility than their peers. Additionally, since income is passed on to unit holders (limited partners), an MLP avoids double taxation. This saves capital, which can then be applied to day-to-day operations and future projects. 

The word "master" in MLPs pertains to the general partner, who will usually own two percent of the MLP. The master partner can increase their share by purchasing additional units as a limited partner. The master partner is also responsible for day-to-day operations. The general partner has a performance incentive because if quarterly cash distributions rise, then the general partner will receive a greater share. Those quarterly cash distributions, by the way, are 80-90 percent tax deferred thanks to depreciation.

MLPs usually yield between five and seven percent. When you combine this factor with low volatility and a tax advantage, MLPs look appealing. Furthermore, when a limited partner eventually sells all of their shares, it will be treated as capital gains, not ordinary income.

One negative aspect is that most MLP investors are investing in pipelines, and many pipelines stretch across more than one state. This means you will have to pay taxes in multiple states. Check with your tax advisor because certain states offer exemptions.

The Bottom Line
While there are advantages to investing in a limited partnership, investing in a MLP adds liquidity. Therefore, if you ever need to free up capital for an emergency or an unexpected project, you will be able to do so with ease trading an MLP.



Read more: Master Limited Partnerships vs. Limited Partnerships | Investopedia https://www.investopedia.com/articles/personal-finance/062915/mlps-vs-limited-partnerships.asp#ixzz5FUNl0U3I
Follow us: Investopedia on Facebook

9
ব্যবসা, লেনদেন বা অঙ্গীকার—যেকোনো বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন করার প্রয়োজন হতে পারে। বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনা-বেচার সময়ও চুক্তি করা প্রয়োজন হতে পারে। আবার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের জন্য বিশেষ করে ঋণের জন্য চুক্তিপত্র সম্পাদন প্রয়োজন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত যেকোনো ধরনের কাজে চুক্তিনামা দরকার হয়। চুক্তি আবার যেনতেনভাবে করলে হবে না। যেকোনো চুক্তিই হোক না কেন, তা বিধিবিধান মেনেই করতে হবে।

চুক্তিনামায় যা থাকবে
প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে চুক্তি করতে গিয়ে কোনো অপূর্ণতা যেন না থাকে। ব্যবসার জন্য হলে তা ছোট হোক আর বড় হোক, চুক্তিতে কার কী রকম দায়দায়িত্ব, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। কোনোভাবেই ফাঁকফোকর রাখা যাবে না। এতে চুক্তি নিয়ে বড় ধরনের জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা থাকবে। চুক্তিতে পক্ষগণের নাম ও ঠিকানা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হলে এর ঠিকানা থাকতে হবে। চুক্তিতে কার কতটুকু অংশ বা ভূমিকা থাকবে, চুক্তি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা কাজ নিয়ে হলে তা শুরুর তারিখ এবং সম্পন্ন বা অবসান হওয়ার তারিখ থাকতে হবে। ব্যবসাসংক্রান্ত হলে পুঁজি কত এবং এ থেকে কীভাবে লভ্যাংশ আদায় হবে, ব্যবসার ব্যবস্থাপনা কেমন হবে প্রভৃতি বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে চুক্তিতে।
কোনো বিরোধ দেখা দিলে তার নিষ্পত্তি কীভাবে হবে, সেটি চুক্তিতে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ করে বিরোধ হলে আলোচনা কিংবা সালিসের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করার সুযোগ থাকবে কি না, তার উল্লেখ অবশ্যই থাকা দরকার।
বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই মীমাংসার মাধ্যমে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করা হয়। তাই চুক্তিপত্রের একটি অনুচ্ছেদে এ-সংক্রান্ত শর্ত রাখা জরুরি। চুক্তিনামায় সালিস আইন ২০০১-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধানটি রাখা যেতে পারে। যেকোনো চুক্তিপত্রের শেষের অংশে দুই পক্ষের এবং সাক্ষীদের সই থাকতে হবে। যে তারিখে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে তারিখ চুক্তিপত্রে দিতে হবে। নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, বিদেশি শত্রু ও দেশদ্রোহী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যাবে না। বিশেষ করে ব্যবসায়িক চুক্তি তো একবারেই নয়।

যেভাবে সম্পাদিত হবে
সাধারণত চুক্তিপত্র করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর তারতম্য হতে পারে। যেমন অংশীদারি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র করতে হয় ২ হাজার টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। ব্যবসার মূলধন ৫০ হাজার টাকার নিচে হলে ১ হাজার টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করলেই চলবে। সাধারণ চুক্তিপত্র নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নোটারাইজড করতে হবে। অংশীদারি চুক্তির ক্ষেত্রে নিবন্ধন করাতে হবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ থেকে। কোনো জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে বায়নানামা সম্পাদন করার প্রয়োজন হতে পারে। বায়নানামাও একধরনের চুক্তি। তবে বায়নানামা সম্পাদন করলে তা অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রশন বাধ্যতামূলক।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট


Source:http://www.prothomalo.com/

10

এক কথায় –
★ মেধাস্বত্ব : পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক আর শিল্পনকশা এই তিনটি স্বত্বকেই মেধাস্বত্ব বলা হয়।
 
★ পেটেন্ট :পেটেন্ট হলো – একটি দেশের কোনো উদ্ভাবককে তার উদ্ভাবনী পণ্যসেবাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এককভাবে নির্মাণ, বিতরণ ও সংরক্ষণ করার অধিকার সনদ।
★ ট্রেডমার্ক :ট্রেডমার্ক হলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বাতন্ত্র্যসূচক চিহ্ন, যা ওই ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পণ্যসেবাকে সমজাতীয় অন্যান্য পণ্যসেবা থেকে আলাদা করে। এটি কোনো নাম বা অক্ষর বা শব্দ বা প্রতীক বা ছবি বা এসবের সমন্বয়ে হতে পারে। যেমন—মার্সিডিজ বেঞ্জের লেখাসংবলিত নকশা হলো এর ট্রেডমার্ক।

★ শিল্পনকশা : শিল্পনকশা হলো হাতে বা যন্ত্রে প্রস্তুত করা দৃশ্যমান নকশা, যা কোনো প্রস্তুত পণ্যে ব্যবহার করা যায়। হাল আমলে আইপড বা আইফোনের নকশা হলো বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শিল্প নকশা।

★ ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক (জিআই পণ্য) :
ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক (Geographical Indications of Goods বা জিআই পণ্য) হলো একটি প্রকিয়া যার মাধ্যমে একটি দেশ তার দেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যকে নিবন্ধন করে। এর ফলে ঐ পন্যটি যেমন ব্র্যান্ডিং পায়, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে সেই পণ্যের মূল্যও বাড়ে।

★ পেটেন্ট : ‘পেটেন্ট’ হচ্ছে কিছু স্বতন্ত্র বা একচেটিয়া অধিকার যেগুলো আইনগত সিদ্ধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা কোনো উদ্ভাবককে তার উদ্ভাবনের জন্য প্রদান করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য পেটেন্ট দেয়া হয় যা পরে নবায়ন করা যায়। পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনের কৌশল সংশ্লিষ্ট আইনী দপ্তরের মাধ্যমে সবাই জানতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম টেলিভিশনের পেটেন্ট নিয়েছিলেন জার্মান বিজ্ঞানী পল গটলায়েব নিপকো।

★ ট্রেডমার্ক : ট্রেডমার্ক বা ব্যবসা স্বত্ত্ব হল একটি চিহ্ন বা প্রতীক যা দ্বারা একটি প্রতিষ্ঠান বা উৎস থেকে আগত পণ্য বা সেবা থেকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা উৎসের পণ্য বা সেবা পৃথক করা যায়। সাধারণত, পণ্যের মোড়কের গায়ে বা অন্যান্য কাগজপত্রে ট্রেডমার্ক অঙ্কিত থাকে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্থাপনায় এটি দেখা যায়। ট্রেডমার্ক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেয়া হয় যা নবায়নযোগ্য। ট্রেডমার্ক প্রকাশ করার জন্য সাধারণত নিম্নের প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়ঃ

® একটি বৃত্তের মাঝে R যার অর্থ হল এটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত ও নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক।
TM ইংরেজি অক্ষর TM বা ‘Trade Mark’ হল অনিবন্ধিত (রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি এমন) ট্রেডমার্কের প্রতীক। এটি কোন পণ্য বা ব্র্যান্ডকে মানুষের সাথে পরিচিত করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
℠ ইংরেজি অক্ষর SM বা ‘Service Mark’ এটিও কোন পণ্য বা ব্র্যান্ডকে মানুষের সাথে পরিচিত করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। সার্ভিস মার্ক নিবন্ধিত হয়ে গেলে সেটিকে ® চিহ্নের সাহায্যে প্রকাশ করা যেতে পারে। ট্রেডমার্ক সাধারণত একটি ছবি, বর্ন, অক্ষর অথবা প্রতীক হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ লোগো মার্কিন সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফটের রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক।

★ কপিরাইট / মেধাস্বত্ব : মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট (ইংরেজি: Copyright) কোন একটি বিশেষ ধারণার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্টিগত নাম হলো মেধাসত্ত্ব। একটি আইনি ধারণা। সাধারণত কোন দেশের সরকার এই ধারণাটির বাস্তবায়ন করে। কপিরাইট বলতে কোন কাজের মূল সৃষ্টিকর্তার সেই কাজটির উপর একক, অনন্য অধিকারকে বোঝানো হয়। কপিরাইট সাধারণত একটি সীমিত মেয়াদের জন্য কার্যকর হয়। ঐ মেয়াদের পর কাজটি পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্গত হয়ে যায়।

মেধাস্বত্ব কোন একটি বিশেষ ধারণার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্টি বা সেট। সবচেয়ে সাধারণ ভাবে, শাব্দিক অর্থে এটা কোন মৌলিক সৃষ্টির ‘অনুলিপি তৈরির অধিকার’ বুঝায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অধিকারগুলো সীমিত সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। কপিরাইটের চিহ্ন হল ©, এবং কিছু কিছু স্থানে বা আইনের এখতিয়ারে এটার বিকল্প হিসেবে (c) বা (C) লেখা হয়।

সৃষ্টিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক কিংবা শিল্পের বিভিন্ন প্রকার কাজের একটা বিরাট পরিব্যাপ্তিতে মেধাস্বত্ব থাকতে পারে বা হওয়া সম্ভব। কবিতা, থিসিস, নাটক এবং অন্যান্য সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, কোরিওগ্রাফির কাজ (নাচ, ব্যালে ইত্যাদি), মিউজিকাল কম্পোজিশন, অডিও রেকর্ডিং, চিত্র বা পেইন্টিংস, আঁকা বা ড্রইং, স্কাল্পচার বা মূর্তি/প্রতিকৃতি বানানোর শিল্প, ফটোগ্রাফ, সফটওয়্যার, রেডিও ও টেলিভিশনের সরাসরি ও অন্যান্য সম্প্রচার, এবং কিছু কিছু এখতিয়ারে শিল্প-নকশা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন) এর অন্তর্গত।

নকশা বা শিল্প-নকশাগুলোর (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন) জন্য কোন কোন এখতিয়ারে আলাদা বা যুগপৎ/অধিক্রমণকারী (ওভারল্যাপিং) আইন থাকতে পারে। মেধাস্বত্ব আইন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি) সংক্রান্ত একটি ব্যাপ্ত বিষয়ের অধীনে অনেকগুলি আইনের একটি।

★ মেধাসত্ত্ব বা পেটেন্ট আইন মানতে হলে সমস্যা কী?

পেটেন্ট কোন প্রতিষ্ঠানকে মেধাসত্ত্ব দিয়ে দেয়। ফলে সে সেই মেধাসত্ত্বের ভিত্তিতে সেই পেটেন্টের সাথে সম্পর্কিত যে কোন বাণিজ্যে সে রয়্যালটি দাবী করতে পারে। যেমন নিমের পেটেন্ট করা আছে আমেরিকার তাই নিম গাছ থেকে উৎপাদিত যে কোন পণ্যে সে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়্যালটি দাবী করতে পারবে। বীজ এবং কৃষি পণ্যের দাম অনেকগুন বেড়ে যাবে বলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। তৈরি পোশাক শিল্পকেও ব্র্যান্ড নামে ব্যবহূত এদেশের তৈরি এ্যাকসেসরিজের জন্য সংশ্লিষ্ট মার্কিন কোম্পানিকে রয়্যালটি দিতে হবে। বাসমতি চাল,চিরতার রস,নিমের দাঁতন ইত্যাদি হেন বস্তু নেই যা আগেভাগেই মার্কিনীসহ বিদেশি কোম্পানিরা পেটেন্ট করে রাখেনি। মেধাস্বত্ব অধিকারের ধারা প্রয়োগ করে তারা এসবকিছুর জন্য রয়্যালটি প্রদানে বাংলাদেশকে ‘টিকফা’ চুক্তি মাধ্যমে বাধ্য করবে। একবার নাইজেরিয়ায় একটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কিনেছিলাম যেটা অ্যামেরিকান প্যাটেন্ট করা, সেই প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম যেখানে বাংলাদেশে এক টাকার কম সেটা নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৭ টাকা লেগেছিল। এই অতিরিক্ত ২৬ টাকা প্যাটেন্ট বা মেধাসত্ত্বের মূল্য। মেধাসত্ত্বের মূল্য সবসময় মুল পণ্যটির চাইতে কয়েকগুন হয়ে থাকে।

★ মেধাস্বত্ব : কেন এটা জরুরি ?
অথচ বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবার উদ্ভাবনের মেধাস্বত্ব নিতে আবেদনের হিড়িক বেড়েছে। বিদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন তাই ক্রমেই বাড়ছে। একই কারণে দেশীয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি হারে নিবন্ধনও পাচ্ছে তারা। দেশীয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে মেধাস্বত্বে আগ্রহবিমুখ, সেখানে প্রতিবছরই এ দেশ থেকে মেধাস্বত্ব নিতে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বিদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন যেমন বেশি করছে, তেমনি তাদের পক্ষে নিবন্ধনও বেশি হচ্ছে।

★ ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক (জিআই পণ্য) :
ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক (Geographical Indications of Goods বা জিআই পণ্য) একটি প্রকিয়া যার মাধ্যমে একটি দেশ তার দেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্যকে নিবন্ধন করে। এর ফলে ঐ পন্যটি যেমন ব্র্যান্ডিং পায়, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে সেই পণ্যের ভাল মূল্যও বাড়ে।

★ ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক সংরক্ষণের প্রয়োজনীতা :
বাংলাদেশ মসলিন, জামদানি, নকশিকাঁথা, ফজলী আম, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। বাংলাদেশের বিশেষায়িত পণ্য জিআইয়ের নিবন্ধন পেলে দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বব্যাপী যেমন ব্র্যান্ডিং পাবো, তেমনি দেশীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যও বাড়বে।

যে কটি পণ্য বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে তার একটি মসলিন। মসলিনেরই টিকে যাওয়া একটি ধরন জামদানি। ঐতিহ্যগতভাবে জামদানি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য। দেশে-বিদেশে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণও রয়েছে। এত কিছুর পরও ভারতের অন্ধ প্রদেশ ২০০৯ সালে জামদানিকে তাদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করেছে। এর নাম দিয়েছে ‘উপাদ্দা জামদানি’। অথচ, বাংলাদেশ এখনো নিজেদের জামদানিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনই করতে পারেনি।

★ ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক (জিআই পণ্য) – সংরক্ষণে করণীয় : বাংলাদেশকে জিআই নিবন্ধনে ভালো করতে হলে এ ক্ষেত্রে গবেষণা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। পণ্যের জিআই নিবন্ধনের জন্য যথাযথভাবে তথ্য-উপাত্তসহ তাদেরই ডিপিডিটিতে আবেদন করতে হবে

11
Successful Story / এ কে খানের জীবনী
« on: March 20, 2018, 03:58:29 PM »

এ কে খান ওরফে আবুল কাশেম খান ব্রিটিশের মুন্সেফগিরি ছেড়ে শিল্পায়নের জন্য যখন দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন, তখন উপমহাদেশের মহাসংকটময় সময়। ত্রিশের দশকের গোড়ার দিকে— তখন সমগ্র বিশ্বে চলছিল ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা, যার প্রভাব স্বাধীনতাপূর্ব অবিভক্ত বাংলায়ও কম অনুভূত হয়নি। বিশেষ করে অনগ্রসর মুসলমান সমাজের তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য ছিল এ সময়টা বিশেষ সঙ্গিন। প্রতিযোগিতামূলক চাকরির ক্ষেত্রে বাণিজ্য বা শিল্পে কোথাও তাদের অবস্থান সংহত ছিল না। ঠিক এমনই সময়ে একজন শিক্ষিত মুসলমান যুবকের পক্ষে ব্রিটিশ সরকারের চাকরির মোহ বর্জন করে স্বাধীন ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করা খুব সহজ কাজ ছিল না। এ কে খান সেই অসহজ দুরূহ পথকেই বেছে নিয়েছিলেন।

এই জনপদে শিল্প ছিল না এ কথা বলা যাবে না সত্য, তবে ইংরেজ আমলে বিলেতের স্বার্থে এই অঞ্চলে বৃহৎ বা মাঝারি শিল্প গড়ে উঠুক, তা ইংরেজরা চাইত না। তাঁত শিল্প, চা শিল্প, জাহাজ ও লবণ শিল্পের উন্নতি তাদের অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করতে হতো। ১৯৪৭ সালের আগে বাংলার কোনো কোনো স্থানে বস্ত্র, চটকল ও কিছু কিছু রাসায়নিক শিল্প স্থাপিত হয়েছিল বটে, কিন্তু এটা খুব উল্লেখ্য ছিল না। শিল্পগুলো ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক। বেশির ভাগ বস্ত্র শিল্প ও চামড়া শিল্প কলকাতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ ছিল শুধু কলকাতাভিত্তিক শিল্পের জন্য একটি কাঁচামাল সরবরাহকারী পশ্চাত্ভূমি।

ব্রিটিশ-পাকিস্তান-বাংলাদেশ এ ত্রিকালদর্শী শিল্প, ব্যবসা, রাজনীতি, মানবসেবার কিংবদন্তি পুরুষ এ কে খান ওরফে আবুল কাশেম খান। এ কে খান ব্লু-ব্লাড তথা রাজকীয় সম্ভ্রান্ত বংশের উত্তরাধিকারী। এ কে খান ১৯০৫ সালের ৫ এপ্রিল মোহরার বিখ্যাত জান আলী খান চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ চট্টগ্রাম রেলপথে জান আলীর নামে একটি রেলস্টেশনের নাম রয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীতে গৌড়েশ্বরের মন্ত্রী সাইয়েদ শমশির খানের তৃতীয় পুত্র শেরবাজ খানের চতুর্থ অধস্তন পুরুষ জান আলী চৌধুরী এ কে খানের পিতামহ। কিন্তু বংশের এ আভিজাত্য, গৌরব ও ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে গেছে এ কে খানের নিজের কর্মের ঐশ্বর্য। লক্ষ্মী ও সরস্বতী যুগ্ম বলে এ কে খানের এক জীবনের আধারে অনেক জীবনের সাফল্য কানায় কানায় উপচে পড়েছে। বংশমর্যাদার সোনার তরীকে তিনি অপরিমেয় ফসলে পূর্ণ করে এত উচ্চতায় উপনীত করেন যে তাতে তার পূর্বপুরুষরা ম্লান হয়ে যান। তার খ্যাতি, অর্থ-প্রতিপত্তির ছটায় উদ্ভাসিত করে রেখেছিলেন বঙ্গের জনপদকে। তার সময়ের বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে শীর্ষ ভূমিপুত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। পিতা আলহাজ আবদুল লতিফ খান মাতা ওয়াহাবুন্নিসা চৌধুরানী। তার পিতা টানা ১৬ বছর সুখ্যাতির সঙ্গে ফতেয়াবাদে সাব রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন।

এ কে খান যে দেশমাতৃকার সুযোগ্য সূর্য সন্তান হিসেবে পরিগণিত হবেন, তা তার ছাত্রজীবন থেকে ইঙ্গিতবহ হয়ে উঠছিল। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রজীবনের প্রতিটি ধাপে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ফতেয়াবাদ হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। ১৯২৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ. (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর অব’ল ( বি. এল ) ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী অর্জন করেন।

তিনি শিক্ষাজীবন শেষে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেন। পরে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় বাঙালি মুসলমান পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে ১৯৩৫ সালে বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসের মুন্সেফ পদে যোগদান করেন। কখনো তিনি ন্যায়বিচারে আপস করেননি। তার বিচারক জীবনের দুটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা যায়। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ তপন রায় চৌধুরীর পিতা কংগ্রেসকর্মী অমিয় রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ফৌজদারি মামলা দায়ের করলে বিচারক মামলাটি আইনসম্মত হয়নি বলে নাকচ করে দেন। তপন রায় চৌধুরী তার বিখ্যাত গ্রন্থ বাঙ্গালনামায় এ ঘটনার উপসংহরে বলেন, ‘যে দুঃসাহসী বিচারক সরকারের আনা অভিযোগ নাকচ করেন তার নাম আবুল কাশেম খান।’

অপর ঘটনায় এ কে খান কোট্টাম নামক একজন ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারকে এক ভারতীয় রাজনীতিবিদকে প্রহার করার অভিযোগে শাস্তি প্রদান করেন। সেই আমলে শ্বেতাঙ্গ আসামির ন্যায্য বিচার করে শাস্তি বিধান করা দেশী বিচারকের কাছে সহজ কাজ ছিল না। এ দুরূহ কাজ সম্পন্ন করে এ কে খান নির্ভীক ন্যায় বিচারক হিসেবে নিজের উন্নত ও বলিষ্ঠ চরিত্রের পরিচয় দান করেন।

এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ সরকার তাকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ‘পানিশমেন্ট পোস্টে’ বদলি করে। সেখানে তাকে প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। এ কে খান উপলব্ধি করেন যে ব্রিটিশ সরকারের আমলে ন্যায়বিচার করা তার জন্য ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ১৯৪৪ সালে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দেন। এ সংকটময় সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে তার জীবনসঙ্গী বেগম শামসুন নাহার খান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বস্তুত এ কে খানের জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার স্ত্রীর বিশাল অবদান রয়েছে। স্ত্রীর নামেই তার পাহাড়ি সবুজময় বাসভবনের নাম ‘শামা’ রেখেছেন।

তার পিতা চাইতেন তিনি চাকরিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। এ কে খান কর্মজীবন শুরু করেন— অবশ্যই তার শ্বশুরকুলের বেঙ্গল-বার্মা স্টিম নেভিগেশন কোম্পানিখ্যাত ব্যবসায়ী ও স্বদেশী আন্দোলনের সংগঠক আবদুল বারী চৌধুরীর সহায়তায়। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, আবদুল বারী চৌধুরীর আমন্ত্রণে মহাত্মা গান্ধী বার্মায় আসেন এবং তার জাহাজে সংবর্ধনা সভায় পূর্ববঙ্গের প্রথম মুসলমান এমবি ডা. এমএ হাসেম মানপত্র পাঠ করেন। কিন্তু পরে এ কে খান যেসব শিল্প সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন তার পেছনে যে চালিকাশক্তি সক্রিয় ছিল, তা তার একান্ত নিজস্ব সৃজনশীল প্রতিভা।

শিল্পায়নে ইনডিভিজুয়াল এন্টারপ্রাইজ বা ব্যস্টিক প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আজকাল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার যে সুলভতা আমরা লক্ষ্য করছি, চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে তা তত সহজ ছিল না। কিন্তু সেই সময়ে এ কে খান এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন যে দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে যদি সমাজকে পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে পুঁজির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তিরও একটা ফলপ্রসূ মিলনের প্রয়োজন এবং তার জন্য দরকার বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। এ কে খানের সব সফল শিল্প স্থাপনার পেছনে এ ভাবনার পরিচয় রয়েছে।

সূত্রমতে, জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত (১৯৮৮) ‘দক্ষিণ ভারতে বাজার ও বাজারজাতকরণ’ নামক বইয়ে এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। বইটি হিরুর্সি ইসিহারার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। বইটিতে টাটাকে ভারতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশে এ কে খানকে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথম স্থানে, গুল বখশ ভূঁইয়াকে দ্বিতীয় স্থানে এবং জহিরুল ইসলামকে তৃতীয় স্থানে দেখানো হয়েছে। এ জরিপটি বেশ বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চালানো হয়েছে। বইটিতে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে— দি চিটাগং খান টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (১৯৫৪), এ কে খান প্লাইউড কোম্পানি লিমিটেড (১৯৫৭), এ কে খান ম্যাচ কোম্পানি লিমিটেড (১৯৫৯), এ কে ডকিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (১৯৫৯), খান এলিন করপোরেশন লিমিটেড (১৯৬২), এ কে খান জুট মিলস লিমিটেড (১৯৬৫), বঙ্গতরী শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (১৯৭০), এসটিএম লিমিটেড (১৯৭৭), বেঙ্গল ফিশারিজ লিমিটেড (১৯৭৯), এ কে খান কোল্ড স্টোরেজ, ফিশ প্রসেসিং আইস, মেলিং প্রজেক্ট (১৯৮৫), এ কে নিট-ওয়ার (১৯৮৫), এ কে গার্মেন্টস (১৯৮৬)।

এ কে খানের মন্ত্রিত্বকালে চা, জুট, তামাক, কটন, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পগুলোর প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। তার সময় পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে কার্যকর ভূমিকা রাখবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি তার সময় খুলনায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে (১৯৫৯) নিউজপ্রিন্ট ও ডিডিটি ফ্যাক্টরি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

তার সময় বেশকিছু বাঙালি অফিসারকে শিল্পে প্রশিক্ষণ লাভের জন্য বিদেশ পাঠানো হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্থাপিত হয়। তার সময় দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শিল্পের উন্নতির জন্য পূর্ব পাকিস্তানের অংশ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য তা ছিল ৩৫.৪ কোটি টাকা। তার সময় ১৯৫৯ সালে ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন স্থাপিত হয়। চট্টগ্রাম কালুরঘাট উড ট্রিটিং প্লান্টটি তার সময়ে ১৯৬০ সালে এফআইডিসিকে হস্তান্তর করা হয়। তারই প্রচেষ্টায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব পাকিস্তান ৩১ নং অর্ডিন্যান্সের অধীনে ১৯৬১ সালে স্থাপিত হয়। পূর্ব  পাকিস্তানের শিল্পায়নের ব্যাপারে এ ব্যাংক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। এ ব্যাংক ১৯৬২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ কে খানের সময় পূর্ব পাকিস্তানে বস্ত্র, চামড়া, ও রাবার, খাদ্যসামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক, কাগজের মিল, নন মেটালিক, মিনারেল প্র্রডাক্ট, পাওয়ার খাতে প্রচুর ঋণ মঞ্জুর করে। তারই প্রচেষ্টায় ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের ভেড়ামারা ও গোয়ালপাড়ায় ৮৫০০ কেডব্লিউ, ১৬০০০ কে ডব্লিউ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাওয়ার স্টেশন স্থাপিত হয়। কর্ণফুলী হাইড্রো ইলেকট্রিক প্র্রজেক্ট বহুদিন ধরে ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছিল। তিনি তাতে গতিসঞ্চার করেন।

তারই সময়ে ১৯৬২ সালের মার্চ মাসে তা বিদ্যুৎ উৎপাদন আরম্ভ করে। ইস্ট পাকিস্তানে পাওয়ার অ্যান্ড ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তারই প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফসল, যার হেডকোয়ার্টার চট্টগ্রামে ছিল— সেই ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এ কে খান।

১৯৬১ সালে আমেরিকার একটি ফার্মকে দিয়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প সম্ভাবনার একটি পূর্ণ জরিপ করেন। এটি একটি মূল্যবান বই। এ ফার্মটির নাম আর্থার অ্যান্ড লিটিল ইনকরপোরেশন— তাদের রিপোর্টটির নাম হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্ভে অব ইস্ট পাকিস্তান ১৯৬১।

আজকে বাংলাদেশ বিসিক, বেপজা, বেজা শিল্পাঞ্চলের যে কনসেপ্ট গড়ে উঠেছে, তার স্বাপ্নিক পূর্বসূরি হচ্ছেন এ কে খান। পাকিস্তানের উন্নয়নে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে’র ধারণা আবুল কাশেম খানের মস্ত বড় দান। পাকিস্তানের মতো একটা প্রাচ্য দেশের পক্ষে পাশ্চাত্যের ন্যায় পুঁজির সেই ভূমিকা ও সুযোগ লাভ করে উন্নতির ওইরূপ প্রচুর সময় পাওয়া যাবে না। সুযোগের সংকোচন সত্ত্বেও পাকিস্তানকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নের প্রাথমিক স্তর উত্তীর্ণ হতে হবে।

এ কে খান মনে করতেন, কয়েকজন বৃহৎ পুঁজিপতি শিল্পকে কেন্দ্রীভূত করলে সমস্যার সমাধান হবে না। শিল্পকে প্রসারিত করে সাধারণ মানুষকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে বহু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সমাবেশ করা যাবে। এখানে শিল্পের মালিকদের জমি, বাড়িঘর, কারখানা, বিজলী, ব্যাংক, কাঁচামালের সরবরাহ, উত্পন্ন পণ্যদ্রব্যের বিক্রি ব্যবস্থা— সব কিছুর সুবিধা দেয়া হবে। বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল, স্কুল সবকিছু মিলে এস্টেটগুলো হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ এলাকা। মুখ্যত বিদেশী বিনিয়োগ নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশে শিল্পায়ন করতে হবে।

মুসলমানদের জন্য আলাদা স্বাধীন আবাসভূমির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, এজন্য ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ এবং ১৯৪৫ সালে মুসলিম লীগে যোগদান। তত্কালে চট্টগ্রাম জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি এবং প্রাদেশিক মুসলিম লীগে যোগদান। তত্কালে চট্টগ্রাম জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি এবং প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের কার্যকরী কমিটির সদস্য। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ার লাইনসের (পিআইএ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে ভারতীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত, তবে জিন্নাহের নির্দেশে তাতে যোগদান থেকে বিরত। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ১৯৫৮ সালে পাক প্রেসিডেন্ট আইউব খানের মন্ত্রিসভায় যোগদান এবং শিল্প, পূর্ত, সেচ, বিদ্যুৎ ও খনিজ বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ১৯৬২ সালে পদত্যাগ। ১৯৬২ সালের সংবিধান রচনা ও মূল্যায়নে তার অবদান রয়েছে। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় সদস্য। বিদ্যুত্মন্ত্রী হিসেবে তার সময়ে পাক-ভারতের মধ্যে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন। শিল্পমন্ত্রী হিসেবে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে বস্ত্র ও পাট শিল্পের দ্রুত প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ এবং দেশের দুই অংশের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণের প্রয়াস। এখানে চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানা, কর্ণফুলী রেয়নমিল স্থাপন। পশ্চিম পাকিস্তানেও অনুরূপ শিল্প প্রতিষ্ঠা।

ঢাকায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপনের প্রস্তাব প্রদান, যাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন এখানে বসতে পারে এবং অধিবেশনকালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ এখানে চলতে পারে। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় শেরেবাংলা নগর স্থাপন। মন্ত্রী থাকাকালে পূর্ব পাকিস্তান শিল্প গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, বয়নশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ও পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক স্থাপন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের আশায় এয়ার মার্শাল আসগর খানের তেহরিকে ইশতেকলাল পার্টিতে যোগদান।

মুসলিম লীগার ও পাকিস্তানের মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এ কে খান নিরন্তর পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে সংগ্রাম করে গেছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এন হুদা জানাচ্ছেন, পাকিস্তান অর্থনীতি সমিতির কার্যক্রমে পূর্ব পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদদের প্রাধান্য ছিল বেশি। এর জন্য পাকিস্তানিরা ঢাকা গ্রুপ অব ইকোনমিস্ট নামে প্রশংসা ও বিদ্রূপ দুটোই করতেন। হুদার তথ্যমতে, মন্ত্রী হিসেবে এ কে খান পূর্ব পাকিস্তানে ট্যাক্স হলিডে দীর্ঘতর করেছিলেন। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন হয়। চিটাগং চেম্বার সচিবালয় তথ্যমতে, এ কে খান কমার্স কলেজে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের তথ্য ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ এ তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যবহার করে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গতির সঞ্চার করে। এভাবেই এ কে খান একাত্তরের স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী গং তাকে একাত্তরের শান্তি কমিটিতে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি এবং তার পরিবার যে ত্যাগ করেছেন, তা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকে নিজ পরিবার নিয়ে সর্বস্ব ত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিশে দেশের সীমানা অতিক্রম করে সম্পূর্ণ অনিশ্চিতের পথে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। তার ভাই মাহবুবুর রহমান খানকে দুই পুত্রসহ হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ দিতে হয়। তার কন্যা জামাতা মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় সংগঠক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচর্যার কাজ করেছেন। তার সন্তানরা স্বদেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধে কোনো না কোনো অবদান রেখেছেন। তিনি তার বুদ্ধি, মেধা, অভিজ্ঞতা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের মনোবল অটুট রাখতে সাহায্য করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন সেই ক্রান্তিলগ্নে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এ কে খান ইংরেজিতে অনুবাদ করে কালুরঘাট ট্রান্সমিটার সেন্টার থেকে সম্প্রচারের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আবু মনসুর ও মোশারফ হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ লেখার শুরুতেই আমরা বলেছি, কর্ম ও সংগ্রামে এ কে খানের সোনার তরী ভরে গিয়েছিল। ৩১ মার্চ ১৯৯১ সালে এ মহাজন প্রয়াত হন। এর একদিন পূর্বে তিনি উইল এ একে খান শিল্পগোষ্ঠীর মোট লভ্যাংশের ৩০ শতাংশ জনশিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্কলারশিপ খাতে ব্যয়ের নিমিত্তে দান করেন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:

১। এ কে খান ফাউন্ডেশন
২। নাসিরুদ্দীন চৌধুরী, দৈনিক পূর্বদেশ, রোববার, ৬ এপ্রিল ২০১৪
৩। এ কে খান স্মারকগ্রন্থ, সম্পাদক হেলাল হুমায়ুন
৪। বার্ষিক কার্যবিবরণীসমূহ, সিসিসিআই
৫। এ কে খান স্মারকগ্রন্থের ওপর অভীক ওসমানের রিভিউ

 

লেখক: চিটাগং চেম্বারের সাবেক সচিব ও সিইও
খণ্ডকালীন শিক্ষক— নাট্যকলা বিভাগ, চবি
(সূত্র: বণিক বার্তা)

12

Raising investment is a common concern for many startups. As Bangladesh’s startup ecosystem grows and as we are seeing more and more serious early stage companies, funding is becoming a matter of growing importance.

How to raise money has become an enduring question among startups in Bangladesh. Raising money is hard. It is harder for startups in a nascent ecosystem like Bangladesh where funding culture is yet to mature. Being said that, Bangladesh is making progress. The country has got its alternative investment act recently and there is a growing VC industry with local and international VCs showing growing interest in the market.

Although startup fundraising is a well-discussed topic, there is no one size fit for all. It is more so for a market like Bangladesh where startup funding is relatively new. However, we can definitely learn from people who have walked the path and have experience of raising investment.

Recently, in an interview with Future Startup, Chaldal CEO Waseem Alim shares his experience and wisdom on raising money. Chaldal has raised money from a diverse set of investors from the Valley, China, and Bangladesh and is a YC company.

Lightly edited transcript of his advice.

Before going full throttle on fundraising, one needs to understand the basics and explore some pretty simple questions like whether the product-market fit is there, how much one needs to raise and for what purposes, and whether one needs the money right away or can wait for a while etc.

Back to the basic
First thing is that, forget about fundraising, instead, ask yourself whether you want to do this. Do you have a good product? It is critical to get the product tick before going for fundraising because you are still not at the stage where you can go and ask people that you want to do a startup and people will give you money. That is not the stage Bangladesh is in right now.

That has happened in many countries. In India, it is very easy to raise money for the last two years. But that is not the case for Bangladesh yet.

So you must have a product, you must understand why you need the investment and then you need to figure out how to do it.

What I’ve realized is that you probably need less than what you think you need or you probably need more than what you think you need or you probably don’t need it right now.

You can always do with less. The best strategy is that try to do with less now because if you can do with like little money and do a lot with that, then investors will think that they did so much with so little money. If we give them one briefcase of money, then they can do so much more.

It is all about input and output. If you can show them that without any input you have done a lot, it is always attractive.

Raising money in Bangladesh

You need to find out where the Bangladeshi VC industry is, who are the movers and shakers.

There are a lot of VCs that are coming into Bangladesh nowadays. I don’t know and haven’t thought about the angel level funding so far. I know some people are doing personal investment these days.

I think there is more confidence in the market these days, so it’ easier. It is hopefully going to get easier and easier if we have some more success stories.

Ask for money and get used to rejections

First thing is that you have to know where to raise the money from. Initially, it is as simple as going to people and asking for money. There is no more magic to it.

You have to ask people, you have to do the hard work. You have to take the rejections and then try harder.

Momentum is important

You have to build up the momentum, if someone wants to invest 1000 taka, let them invest 1000 taka. High targets are fine but sometimes those can be the reason for your failure.

The truth is that, whatever I aim to raise, I end up raising 30% of that. That seems to be my law. If you want to raise a billion, you should really target for 3 billion.


Source: https://futurestartup.com

13
Digital Marketing / Facebook Marketing Tips
« on: March 17, 2018, 05:48:46 PM »

আপনি কি পরিস্কার ভাবে বলতে পারবেন আপনি ফেসবুক কেন ব্যাবহার করেন?

প্রফেশনাল দরকারে?

নাকি শুধু মাত্র ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির সাথে কানেক্টেড থাকার জন্য?

আপনি যে কারনেই ফেসবুক ব্যাবহার করেন না কেন, যে কেউ আপনার ফেসবুক পোষ্ট এবং এংগেইজমেন্ট গুলো দেখলে আপনার সম্পর্কে একটা ধারনা তৈরি করে ফেলতে পারবে। আপনার পছন্দ, আপনার এটিটিউট, আপনার চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি। ফেসবুক তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত প্রফেশনাল ফিচার যোগ করছে, যাতে লিঙ্কডইনের পারপাসটা ফেসবুকেই ফুল ফিল হয়। আর হচ্ছেও তাই। ফেসবুক এখন যতটানা ব্যাক্তিগত কারনে ব্যাবহার করা হয়, তার চাইতেও বেশি ব্যাবহার করা হয় প্রফেশনাল দরকারে। ফেসুবুক পেইজ হতে শুরু করে গ্রুপ, সবকিছুই এখন প্রফেশনাল কারনে পরিচালিত হচ্ছে। ফেসবুককে ঘিড়েই পরিচালিত হচ্ছে অনেক ব্যাবসা। যাকে আমরা এফ কমার্সও বলে থাকি। শপিফাই এর মত ইকমার্স সিএমএস ফেসবুকের জন্যও তাদের সিস্টেম ডেভেলপ করেছে।

তাই আমরা যারা প্রফেশনাল দরকারে ফেসবুক ব্যাবহার করছি আমাদের জানতে হবে ফেসবুকের এলগরিদম কিভাবে কাজ করে। কি ধরনের কন্টেন্ট আমাদের তৈরি করা উচিত। ব্যাবসায়িক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যে কোন বিজনেসের সাধারন ফরমুলাটা অনেকটা এরকম “প্রোডাক্টটাকে যত বেশি মানুষের কাছে পৌছানো যাবে, তত বেশি সেল জেনারেট করা যাবে।”

তাই আমাদের ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রথম গোল হবে কিভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌছানো যায়। কি ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করলে রিচ বেশি হবে। ফেসবুকের এলগরিদমটা এংগেইজমেন্ট নির্ভর। তারমানে আমার কন্টেন্টে যদি আপনি কমেন্ট করেন তাহলে আপনার ফ্রেন্ডদের নিউজফিডেও আমার কন্টেন্ট শো হবে। এভাবে যত এঙ্গগেইজমেন্ট জেনারেট করা যাবে, তত ভিজিবিলিটি বাড়বে। যত ভিজিবিলিটি বাড়বে, তত সেল বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এখন জেনে নেই, ফেসবুকের এলগরিদম কিভাবে কাজ করে
ফেসবুকের এলগরিদমকে বলা হয়ে থাকে এডজ রেঙ্ক (Edge Rank). এই এলগরিদম মুলত তিনটা বিষয়ের উপর কাজ করে থাকে। Affinity, Weight এবং Time decay।

Affinity: এটা মুলত আপনার পোস্টের এংগেইজমেন্ট বিহেভিয়ার। আপনার পোস্টে কি পরিমান এংগেইজমেন্ট হয়। কারা করে, কারা করে না। কত ভাগ করে এবং কত ভাগ করে না। যারা এংগেইজড হয় তারা কি করে? লাইক, শেয়ার, কমেন্ট? এই ডাটা গুলোর উপর ভিত্ত করেই আপনার পোস্ট কতজনের নিউজফিডে শো হবে তা নির্ভর করে থাকে।

Weight / Type of Content: এটা মুলত আপনার পোস্টের ধরন। আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করছেন অথবা শেয়ার করছেন? টেক্সট, ছবি, ভিডিও? ফেসবুক এক এক ধরনের পোস্টকে এক এক ভাবে ট্রিট করে। যেমন বর্তমান সময়ে ভিডিও এবং ছবি নিউজফিডে বেশি শো হয়ে থাকে। আবার মোবাইল থেকে ভিজিট করলে ভিডিও বেশি শো হয়।

Time Decay: এইটা মুলত আপনার পোস্টটি কতটুকু পুরানো তার উপর নির্ভর করে। ফেসবুক মুলত মোস্ট রিসেন্ট পোস্টগুলো নিউজ ফিডে বেশি দেখায়। তাই আপনার পোস্ট মুলত যত পুরানো হতে থাকবে, আপনার রিচ তত কমতে থাকবে। তবে নিয়মিত ভাবে এংগেইজমেন্ট পেলে রিচ বেড়ে যাবে।

এখন, একটা বেপার আপনার মাথায় রাখতে হবে, আপনার পোস্টে যত বেশি এংগেইজমেন্ট হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত বাড়তে থাকবে। একই ভাবে, আপনার এঙ্গেইজমেন্ট যত কম হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত কমতে থাকবে। ধরেন আপনার পেইজে ১০,০০০ ফলোয়াড় আছে এবং কেউ আপনার কোন পোস্টে এঙ্গেইজ হয় না। তারমানে Edge Rank এলগরিদম অনুসারে আপনার পেইজের নেগেটিভ মার্কিং হবে। আপনার নতুন পোস্টগুলোর রিচ তত কমতে থাকবে। তাই আপনার কত জন ফ্যান আছে তার চাইতে আপনার কত পার্সেন্ট ফ্যান এঙ্গেইজ হয় এটা গুরুত্ব পুর্ন। যত বেশি ফ্যান এঙ্গেইজ হবে, আপনার পেইজের ভ্যালু তত বাড়বে।

এঙ্গেইজমেন্ট বাড়াতে এই প্রুভেন মেথডটি ফলো করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে নিচের কন্টেন্ট গুলো ক্রমান্বয়ে নিউজফিডে বেশি শো হয়ে থাকে
ভিডিও
GIF
ইমেইজ
টেক্সট উইথ কালার ব্যাকগ্রাউন্ড (ফেসবুকের নিজশ্ব ফিচার)
টেক্সট কন্টেন্ট
বর্তমান সময়ে ফ্যান পেইজের চাইতে গ্রুপের পোস্ট গুলো নিউজফিডে বেশি শো হয়।

আবার আপনি যখন এঙ্গেইজমেন্ট জেনারেট করার চেষ্টা করবেন, তখন একজন মার্কেটার হিসেবে আপনার প্রথম লক্ষ হওয়া উচিত কমেন্ট এবং শেয়ার জেনারেট করা। তারপর লাইক এবং রিয়েকশন। তারপর পোস্ট ক্লিক। এভাবে জেনারেট করতে পারলে আপনি সর্বাধিক রিচ আশা করতে পারেন।

মনে রাখবেন, আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন কাজ করছে নাকি করছেনা তা আইডেন্টিফাই করতে পারবেন কতগুলো লিড জেনারেট হচ্ছে / কতগুলো ফোন / ইমেইল / ম্যাসেজ পাচ্ছেন।

প্রো টিপঃ আপনি যখন অন্যের তৈরি করা কন্টেন্ট শেয়ার করছেন, চেষ্টা করেন সেখানে নিজের মতামত যোগ  করে তারপর শেয়ার করতে। বিস্তারিত জানতে Content DJ রিলেটেড এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।


source:http://www.growwithnahid.com

14

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আদিতে হিসাববিদ্যা শুধু বুককিপিংয়েই সীমাবন্ধ ছিল। জমা-খরচের হিসাব রাখাই ছিল এ শাস্ত্রের মূল কাজ। সময়ের পরিক্রমায় হিসাবরক্ষণ হলো হিসাববিজ্ঞান, এখন তা হিসাব ও তথ্যবিজ্ঞান। এর রয়েছে নানা শাখা-উপশাখা। একদল অ্যাকাউন্ট্যান্ট কোম্পানির অভ্যন্তরীণ হিসাব বিভাগ সামলাচ্ছেন, তো অন্য একদল তাদের কার্যক্রমের নিরীক্ষা করছেন। তৃতীয় আরেকটি দল বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণ করছেন। চতুর্থ দলটি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বসে তিন পক্ষকেই নজরে রাখছেন।

আধুনিক যুগে অভ্যন্তরীণ অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রাথমিক দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষণ, আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত, যথাযথ চ্যানেলে রিপোর্টিং ও এসবের ব্যাখ্যা প্রদান। ব্যাখ্যার অংশ হিসেবে ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানির হিসাব-নিকাশ ও আর্থিক অবস্থার নানা উপস্থাপন করেন তারা। বিনিয়োগকারীরাও তাদের হিসাব-নিকাশের ব্যাখ্যা চাইতে পারেন, নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা তো বটেই।

বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে বহিঃনিরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টরা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা দেখেন, অভ্যন্তরীণ অ্যাকাউন্ট্যান্টরা যা প্রকাশ করেছেন, তা কতটুকু সত্য। কোম্পানির হিসাব বিভাগের উপস্থাপন হিসাব মানদণ্ডের আলোকে যথার্থ কিনা। সেখানে কোনো ব্যত্যয় রয়েছে কিনা, যা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গত এক শতকে আর্থিক বাজারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সফল বিনিয়োগকারীদের প্রত্যেকেই অ্যাকাউন্টিংয়ে যথেষ্ট দখল রাখেন। আধুনিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোয় অ্যাকাউন্ট্যান্ট শুধু নিজ কোম্পানির হিসাব-নিকাশ রাখেন, তেমন নয়। তারা বরং বিশ্লেষণী কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, নিরীক্ষা, ম্যানেজমেন্ট পর্যালোচনা ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন স্কিলের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় বিশ্বসেরা ইকুইটি রিসার্চ টিমগুলো।

আধুনিক যুগের আর্থিক বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নিয়ন্ত্রক সংস্থায়ও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পদচারণা। উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই একাডেমিক রিসার্চ, ইন্ডাস্ট্রির ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বে সমন্বয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতো রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়। আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থায়ও বিভিন্ন পদে অ্যাকাউন্ট্যান্টদের সক্রিয়তা প্রশংসনীয়।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টিং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিজের পেশাগত নৈতিকতা ধরে রেখে আধুনিক যুগের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বোপরি আর্থিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ায় ভূমিকা রাখছেন। গণমাধ্যমের কল্যাণে এ যুগে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, মুখপাত্র, প্রধান বিপণন কর্মকর্তারা রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেয়ে গেলেও খানিকটা নীরবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে যান অ্যাকাউন্ট্যান্টরা। তারা আর্থিক বাজারের আনসাং হিরো। তাদের হাত যত শক্তিশালী হবে, বাজার তত সুন্দর হবে।

ভিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট

ইন্টারনাল

হিসাব বিভাগে কর্মরত অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রথমে তার প্রতিষ্ঠানের দেয়া দায়িত্ব পালন করেন। আর্থিক তথ্য-উপাত্তের যথাসংরক্ষণ, বিবরণী প্রস্তুত ও উপস্থাপনের পাশাপাশি প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ম্যানেজমেন্টকে তথ্য ও ব্যাখ্যা দিয়ে সাহায্য করেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সবচেয়ে বড় ভরসার স্থলও তিনি। কারণ তার দেয়া উপাত্তের ভিত্তিতেই শেয়ারের দর নির্ধারণ হয়। যথাযথ করের অংক নির্ধারণ করে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি প্রত্যক্ষ দায়বদ্ধতার পরিপালন করেন অভ্যন্তরীণ অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কোনো এক জায়গায় যদি তিনি ব্যত্যয় ঘটান, তাহলেই তিনি ভিলেন। তার হিসাব-নিকাশে কোম্পানি, রাষ্ট্র, শেয়ারহোল্ডার কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চলবে না।

একেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির রহস্য উন্মোচনের পর দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের চোখে সবচেয়ে বড় ভিলেন হয়ে দাঁড়ান সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ইন্টারনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট কোম্পনির ঊর্ধ্বতনদের অন্যায্য চাহিদায় সাড়া দেন ফল ভাগাভাগির অলিখিত শর্তে। সেটি হতে পারে নগদ ইনসেনটিভ, হতে পারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের প্রত্যক্ষ বা প্রচ্ছন্ন সুযোগ। কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলচিত্ত অ্যাকাউন্ট্যান্টরা নিছক আজ্ঞাবহের মতো ‘উপরের নির্দেশ’ মেনে হিসাব প্রতিবেদন উপস্থাপন করে চলেন। তিনি দুরভিসন্ধির অংশীদার না হলেও ওয়াকিবহাল বটে। ভিলেনদের মুখোশ উন্মোচনের সুযোগ তার সামনেও কিন্তু আসে। তাকে ভিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলতে না চাইলেও ভিলেনের সহযোগী বলতেই হবে।

এক্সটার্নাল

ইন্টারনাল অ্যাকাউন্ট্যান্টদের মতো একইভাবে শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষার পবিত্র দায়িত্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ভিলেন নিরীক্ষকরা। দুরভিসন্ধিমূলক অভ্যন্তরীণ হিসাব প্রতিবেদনের ত্রুটিগুলো শনাক্ত না করে তিনি জানা-অজানা কোনো কারণে তাতে সই করে দিলেন। এদিকে শেয়ারহোল্ডারসহ সবাই বিশ্বাস করে আছেন, নিরীক্ষক কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করেই সই-স্বাক্ষর করেছেন। সুতরাং কোম্পানির দেখানো উপাত্তের ভিত্তিতে এর শেয়ারদর নির্ধারণ করা যায়। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডার প্রতারিত হয়েছেন।

ফান্ড ম্যানেজার

কোম্পানির হিসাব প্রতিবেদন পড়ে একজন পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার যখন বুঝতে পারেন, সেখানে প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন ঘটছে না, কোড অব এথিকস বলে, তার সেখানে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। কারণ ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের সম্পদকে ঝুঁঁকির মুখে ফেলার কোনো অধিকার তার নেই। তার পরও সে ফান্ড ম্যানেজার যদি বিনিয়োগকারীর প্রতি তার দায়বোধ ভুলে গিয়ে নিছক রিটার্ন সর্বোচ্চকরণের মোহে ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল ভিলেন অ্যাকাউন্ট্যান্টদের পাতা ফাঁদে পা দেন, তবে তিনিও ভিলেন। তার পোর্টফোলিওর হিসাব রাখা অ্যাকাউন্ট্যান্ট, নিরীক্ষকও ভিলেন।

রেগুলেটর

নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বসে থাকা অ্যাকাউন্ট্যান্টরা যদি উল্লিখিত তিন পক্ষের অন্যায় প্রতিহত না করেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, তিনি তার পেশাগত নৈতিকতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনিও ভিলেন। এছাড়া যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েও যে বিচারক ভিলেনদের যথোপযুক্ত সাজা নিশ্চিত না করেন, তিনিও ভিলেন।

সাং হিরো

আর্থিক বাজারের আনসাং হিরোরা যদি আপাত আরামদায়ক চেয়ারটির মায়া ত্যাগ করে সত্য প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় হন, তিনিই সাং হিরো। ম্যানেজমেন্টকে ঠকানো, কর ফাঁকি, বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা ইত্যাদি যত কেলেঙ্কারির কথা সমাজে প্রকাশিত হয়েছে, তার নেপথ্যে ছিলেন এই সাং হিরোরাই, তাদের একটি বড় অংশই অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড ইনভেস্টিগেশন স্টাডিজের পর্যবেক্ষকদের ধারণা, করপোরেট বিশ্বে ১০ শতাংশ মানুষ কখনই তার পেশাগত নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত হন না। ১০ শতাংশ মানুষ যেকোনো উপায়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেনই। আর মধ্যবর্তী ৮০ শতাংশ নৈতিকতার গুরুত্বও বোঝেন, অনৈতিক উপার্জনের আপাত প্রাপ্তিগুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখেন। তারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজের কাজ করে যেতেই ইচ্ছুক। তবে তাদের বিচ্যুতি অসম্ভব নয়। মধ্যবর্তী ৮০ শতাংশকে হিরোদের দলে টেনে আনার মতো আইনি পরিবেশ ও শক্তিশালী সংস্কৃতিই হবে আগামীর আর্থিক বাজারের মূল রক্ষাকবচ; ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারেও, ওয়াল স্ট্রিটেও।


source:http://bonikbarta.net

15


আধুনিক যুগের ব্যবসা-বাণিজ্যে কোম্পানির কৌশলগত প্রতিটি পরিকল্পনার সময়ই কোনো না কোনোভাবে চলে আসে ব্র্যান্ড ভ্যালু। এর শাস্ত্রীয় সংজ্ঞায় অনেক কিছুই বলা হয়। সহজ ভাষায় বললে, বিদ্যমান বা সম্ভাব্য ক্রেতা একটি কোম্পানি এবং তাদের পণ্য বা সেবাকে কী চোখে দেখে তা-ই তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু। ভালো ব্র্যান্ড কোম্পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আবার দুর্বল ব্র্যান্ডকে ঠিক উল্টো ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। নতুন শতকে এসে একটি ট্রেন্ড খুবই স্পষ্ট, যে কোম্পানির সামগ্রিক সম্পদ কাঠামোয় ব্র্যান্ডের মতো অস্পৃশ্য সম্পদের অবদান বেশি, তারাই অন্যদের তুলনায় বেশি ক্যাশ ফ্লো জেনারেট করছে। প্রফিটেবিলিটিতেও তারা অন্যদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারও জানে এর অর্থ কী...
২০১২ সালে স্টকহোম স্কুল অব ইকোনমিকসের একদল গবেষক দেখিয়েছেন, শক্তিশালী ও মূল্যবান ব্র্যান্ডের মালিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে বেশি রিটার্ন আসে। একই সঙ্গে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ে গঠন করা পোর্টফোলিওর ঝুঁকিও তুলনামূলক কম।

২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ইউরোপীয় কোম্পানির ব্র্যান্ড ইকুইটি, ব্যবসায়িক উপাত্ত আর শেয়ারের রিটার্ন পর্যালোচনা করে আলেক্সান্ডার এঙ্গেল ও জোয়াকিম আমাদিউস ওলসন নামে দুই গবেষক জানান, শক্তিশালী ব্র্যান্ডের মালিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার নিয়ে গঠিত পোর্টফোলিওটি সূচক ও অন্যান্য পোর্টফোলিওর চেয়ে বেশি রিটার্ন দিয়েছে। গড়ে বার্ষিক রিটার্ন ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি ছিল। অন্যদিকে সে পোর্টফোলিওর বেটা মান অন্যান্য কম্পোজিশনের পোর্টফোলিও, এমনকি বাজারের গড় বেটার চেয়েও কম ছিল। এর অর্থ হলো, তুলনামূলক কম ঝুঁকি নিয়ে শক্তিশালী ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলোর শেয়ার থেকে দীর্ঘমেয়াদে অনেক বেশি রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কম বেটা আর বেশি আলফা, দক্ষ ফান্ড ম্যানেজারের সাধনাই তো এখানে।

প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক, কেন এমনটি হয়।

উত্তরে প্রথমেই বলতে হবে, ব্র্যান্ড ভ্যালু এমন একটি সম্পদ, যা কোম্পানির সেলস টিমের কষ্ট কমায়। ভালো ব্র্যান্ডের প্রতি সন্তুষ্ট ক্রেতারা অনুগত থাকেন, ভালো ব্র্যান্ডের রয়েছে সশ্রদ্ধ পরিচিতি, ভালো ব্র্যান্ড পণ্য বা সেবার মান সম্পর্কে ক্রেতার সন্দেহ দূর করে। এছাড়া প্রতিযোগিতার বাজারে ভালো ব্র্যান্ড কোম্পানির স্ট্র্যাটেজিস্টদের বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করে, যা তাদের প্রিমিয়াম প্রাইস নির্ধারণেও সাহস জোগায়। বিক্রির বিপরীতে হিসাব করলে দেখা যাবে প্রমোশনের পেছনে খরচ কমাতেও ভূমিকা রাখে একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড। এর উদাহরণ আমরা প্রতিদিনই দেখছি। সাধারণ ব্র্যান্ডের পণ্যে যখন একটির সঙ্গে একটি ফ্রি বা বড়সড় ডিসকাউন্ট অফার থাকছে, শক্তিশালী অনেক ব্র্যান্ড এ ধরনের ছাড় না দিয়েও ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছে।

অর্থাৎ কোম্পানির প্রফিটেবিলিটি ও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান সবখানেই ব্র্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে ব্র্যান্ড ভ্যালুর জন্য দীর্ঘদিন বিনিয়োগ করতে হয়। সে বিনিয়োগ আর্থিকও হয়, মেধারও হয়, আবার স্বল্পমেয়াদে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষারও বিষয়। বিপরীতে কোম্পানি তার পণ্য বা সেবার প্রতি বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতার শ্রদ্ধাবোধ অর্জন করে। যুগপৎ বিক্রি ও মুনাফা বাড়ানোর যুদ্ধে এ শ্রদ্ধাবোধ একটি কোম্পানিকে কতটা এগিয়ে দিতে পারে কোকাকোলা, অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল, জিলেট, টয়োটা, বিএমডব্লিউ বা হোন্ডার মতো কোম্পানিগুলো তার সবচেয়ে সহজবোধ্য উদাহরণ। আমাদের দেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বার্জার পেইন্টস, গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্র্যান্ড ভ্যালু আর বিক্রয় প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালেও বিষয়টি অনুমেয়।

ব্র্যান্ড ইকুইটি

কোম্পানির ইকুইটির মতো একটি ব্র্যান্ডের সম্পদ ও দায়ের সমন্বয়কেই ব্র্যান্ড ইকুইটি বলে অভিহিত করা হয়। এ সম্পদ ও দায়কে পাঁচটি মূল ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়, ব্র্যান্ড লয়্যালটি বা ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতার আনুগত্য, নাম পরিচিতি, প্রত্যাশিত মান, ব্র্যান্ডের সঙ্গে ক্রেতার সংযুক্তি এবং নাম, প্রতীক, লোগোসহ অন্যান্য সম্পদ।

যে ব্র্যান্ড কোম্পানির বিক্রি ও মুনাফা বাড়াতে যত বেশি ভূমিকা রাখে তার ব্র্যান্ড ইকুইটি তত বেশি। বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজেদের যথাযথভাবে তুলে ধরতে আশির দশক থেকেই কোম্পানিগুলো তাদের ব্র্যান্ডের ভ্যালুয়েশনের পেছনে ছুটছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইন্টারব্র্যান্ডের হাত ধরেই এ সেবার সূচনা এবং আজ পর্যন্ত তারাই ব্র্যান্ডের ভ্যালুয়েশনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম।

ব্র্যান্ডের মূল্য নির্ধারণে দুটি সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়: প্রথম পদ্ধতিতে হিসাব করে দেখা হয়, তৃতীয় কোনো কোম্পানির কাছ থেকে নিয়ে ব্র্যান্ডটি ব্যবহার করলে বিক্রির বিপরীতে ফি আকারে যে অর্থ ব্যয় হতো তার ভিত্তিতে। বিষয়টি অনেকটা শেয়ারবাজারে রিলেটিভ ভ্যালুয়েশনের মতো।

দ্বিতীয় পদ্ধতিটিকে অ্যাবসলিউট ভ্যালুয়েশন বলা যায়, যা ইন্টারব্র্যান্ড ব্যবহার করে থাকে। এখানে ইন্টারব্র্যান্ড তিনটি বিষয় হিসাব করে দেখে। প্রথমত. ব্র্যান্ডটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার আর্থিক পারফরম্যান্সকে কীভাবে প্রভাবিত করে। দ্বিতীয়ত. ভোক্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ তথা বাছাই প্রক্রিয়ায় ব্র্যান্ডটির ভূমিকা কতটা। তৃতীয়ত. মূল্য নির্ধারণে ব্র্যান্ডটি কোম্পানিটিকে কতটা প্রিমিয়াম রাখার সুযোগ করে দেয়।

সুইডেনের গবেষকদ্বয়ের অনুসন্ধানে মূলত ইন্টারব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড ইকুইটি টেবিল ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা শেয়ার কেনাবেচার জন্য এমন টেবিল কোথায় পাব?

উত্তর হলো, আমাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অধীন ব্র্যান্ডগুলোর আক্ষরিক ভ্যালুয়েশন হয়তো করতে পারব না। তবে ইন্টারব্র্যান্ডের মতো এ প্রশ্নগুলো আমরাও করতে পারি। এর আক্ষরিক উত্তর হয়তো পাব না। তবে পরিবার ও বন্ধুদের মহলে একটি ছোট্ট জরিপ চালিয়েও কয়েকটি ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি র্যাংকিং করে ফেলা সম্ভব হবে। ভালো ব্র্যান্ডের জন্য শেয়ারের ভ্যালুয়েশনে কিছু প্রিমিয়াম আর দুর্বল ব্র্যান্ডের জন্য ডিসকাউন্টের চর্চা আমরাও করতে পারি।

ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা, সুশাসন ও ব্র্যান্ড ভ্যালু

কল্পনা করুন, একটি কোম্পানির অধীন ব্র্যান্ডগুলো খুবই শক্তিশালী ও মূল্যবান। কিন্তু তাদের ম্যানেজমেন্ট দুর্বল কিংবা করপোরেট সুশাসন যাচ্ছেতাই রকমের। খুঁজলে দেখা যাবে তা খুবই বিরল। কারণ এগুলো একসঙ্গেই পথ চলে।

শক্তিশালী ব্র্যান্ড কোম্পানির বিক্রি ও মুনাফা বাড়াতে ব্যর্থ হলে ধরে নিতে হবে, এটি ম্যানেজমেন্ট ফেইলিওর। আবার এ দুটোই ঠিক থাকার পরও দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারহোল্ডাররা মুনাফাবঞ্চিত হলে করপোরেট সুশাসনকেই এজন্য দায়ী করা যেতে পারে।

সতর্কতা

ব্র্যান্ড ইকুইটির বা গুডউইলের হিসাব-নিকাশের উপাত্ত অবশ্যই বাস্তবতার নিরিখে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। মনগড়া অস্পৃশ্য সম্পদের বলি হওয়া যাবে না। তবে এটিও সত্য, একজন ভোক্তা বা ক্রেতা হিসেবে আমরা ঠিকই অনুধাবন করতে পারি, একটি কোম্পানির ব্র্যান্ডগুলো আমাদের মনে কত ইতিবাচক অবস্থান করে নিতে পেরেছে।

সব ভালোরই একটি শেষ আছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলোর মালিক কোম্পানির শেয়ারও যদি চরম অতিমূল্যায়িত হয়, সময়-সুযোগ মতো সেখানেও দর সংশোধন হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে বসলে স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগকারীর হতাশা বাড়তে পারে। তবে কম বেটা আর উচ্চ আলফার পরিসংখ্যান আশাবাদী করে, দীর্ঘমেয়াদে ভালো ব্র্যান্ড ইকুইটির মালিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিনিয়োগকারীদের ভালো রিটার্ন দেয়।


source:http://bonikbarta.net

Pages: [1] 2 3